বিজ্ঞাপন
স্টাফ রিপোর্ট : “আমার ভোট কে দিলো? ওরা বলছে আমার ভোট নাকি অন্য কে দিলাইছে। আমি ভোট দিতে গিয়েছিলাম কিন্তু আমার ভোট কে বা কারা দিয়ে দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। কথা বলছিলেন বড়লেখা উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের এক ভোটার।
এ ওয়ার্ডের সাইফুল ইসলাম ও রুসনা বেগম নামের আরও দুই ভোটার একই অভিযোগ করেন।
তারাও জানান তাদের ভোটও কে কারা দিয়ে দিয়েছে।
সাইফুল ইসলাম জানান, আমি অনেক আশাকরি ভোট দিতে এসেছিলাম পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবো। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমার ভোটটা অন্য কেউ প্রয়োগ করে ফেলেছে।
রুসনা বেগম নামের আরেক ভোটার জানান, আমি তিনবার ভোট কেন্দ্রে গিয়েছি। আমার ভোটটা কে দিয়ে ফেলেছে। খুব কষ্ট লাগলো, ভোট না দিয়েই চলে যাচ্ছি।
জানা যায়, তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ১০ ইউপিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট উৎসব চলছে।
রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৯২টি কেন্দ্রে শুরু হয় ভোটগ্রহণ; চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
শুধু বড়লেখা সদর ইউপিতে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে বাকি নয় ইউপিতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে বড়লেখা উপজেলার ১০ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৪ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৯০ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরমধ্যে উপজেলার ৮টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের ১৫ জন নেতা বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
তন্মধ্যে চারটি ইউপিতে দুজন করে ৮ জন, তিনটিতে একজন করে ৩ জন এবং একটিতে ৪ জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া স্বতন্ত্রের মোড়কে বিএনপির ৫ জন ও জামায়াতের ১ জন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।
তবে ৮ ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীদের তীব্র লড়াই হবে বলে সবাই ধারণা করছেন। উপজেলার ১০ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৬। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৮৩ হাজার ৯৮৭ ও নারী ভোটার সংখ্যা ৮৩ হাজার ৭৯৯।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এসএম সাদিকুর রহমান সকাল ১০টায় জানান, শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোটগ্রহণ। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, আনসার বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। পাশাপাশি তিনজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন।