বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেট নগরীর সিটি পলি ক্লিনিক ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পিমা বেগম নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের অবহেলার কারণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। তারা হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেন।
পরে পুলিশ, স্থানীয় কাউন্সিলর ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্ঠা করেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছিল।
মারা যাওয়া ওই নারী নগরের হাওরাপাড়া এলাকার তুহেল আহমদের স্ত্রী। তিনি ওই হাসপাতালের গাইনি ডাক্তার নাহিদা হিলোরার অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাত ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সন্ধ্যায় ওই নারীর অপারেশন সম্পন্ন হয়।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধায় অপারেশনের জন্য সুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির ২০ মিনিট পর অপারেশন শুরু হয়। অপারেশনের সময়ই রোগীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করছেন স্বজনরা। এসময় নবজাতক সুস্থ ছিল।
রোগীর স্বজনরা আরও বলছেন, চিকিৎসকরা বারবার আমাদের বলেছেন যে- রোগী সুস্থ আছেন। অপারেশনের পর রেষ্ট রুমে নেয়া হয়েছে। পরে রাত ১০ টার দিকে চিকিৎসকরা রোগী মারা যাওয়ার কথা জানান।
রোগীর বড় বোন তামান্না বলেন, চিকিৎসকের ভুলের কারণে আমার বোনের মৃত্য হয়েছে। আমরা বারবার বলা সত্যেও চিকিৎসকরা বলেছেন রোগী বেঁচে আছে।
পিমার বেগমের মা মিনু বেগম বলেন, আমার মেয়েকে সুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করি। তারপর ২০ মিনিটের মাথায় রাত ৭ টায় অপারেশন রুমে নেওয়া হয়। মাত্র ৮ মিনিটের অপারেশন করা হয়।
পিমার মা আরও বলেন, অপারেশন থিয়েটার রুমে আমার মেয়ে মারা যায়। হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সরা আমাদের জানায়নি। তাদের অবহেলার কারণে আমার মেয়ের মৃত্য হয়েছে।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে যান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ, কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ, ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফুল হাদী, ১৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাবেদ আহমদ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। আমরা সবপক্ষের সাথে আলোচনা করছি।