বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : স্বপ্নের পদ্মা সেতু যান চলাচলের উপযোগী করতে চূড়ান্ত পর্যায়ে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে সড়ক পথের শেয়ার পকেটের কাজ শেষ হয়েছে। চার লেন সেতুর মাঝখানে ডিভাইডার চার কিলোমিটার সম্পন্ন হয়েছে। আর মূল সেতুর কার্পেটিং শুরু হবে শিগগিরই।
৬ দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর সড়ক পথের ৫ হাজার ৮৩৪ শেয়ার পকেটই সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ২ নম্বর মডিউলের সবশেষ ২৭টি শেয়ার পকেটের কাজ শেষ হয়।
চার লেন সেতুর মাঝখানে ডিভাইডার এরই মধ্যে চার কিলোমিটার তৈরি হয়েছে। আর নিচ তলায় সেতুর গ্যাস লাইন স্থাপন কাজ জাজিরার পাশাপাশি মাওয়া প্রান্তেও চালু হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুম শুরু হতেই মাওয়া প্রান্তে নদী শাসনের কাজে গতি পেয়েছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শারফুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘ড্রেজিং ডিজাইন লেভেলে হয়ে গেলে দুই ধরনের বস্তা থাকবে। স্লোপে পাথর ফেলবে। আর আপার স্লোপে ব্লক বিছাবে। দুইটাই ইনশাল্লাহ সামনের সিজনে শেষ হয়ে যাবে।’
জাজিরা প্রান্তের ভায়াডাক্টের ১২০ মিটার এলাকায় কার্পেটিং হয়েছে। মূল সেতুর কার্পেটিং শুরু হবে শিগগিরই।
পদ্মা বহু সেতু প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী এস এম তানমিম হাবিব শুভ বলেন, ‘ওয়াটার প্রুফিং হয়ে গেলে সিকোয়েন্সি কাজ চলতে থাকবে। আর এখন প্রুফিং চলবে। আর এ কাজগুলো রেগুলারলি শুরু হয়ে যাবে।’
আর সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দিতে দ্রুত কাজ চলছে বলে জানালেন প্রকল্প পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম।
সেতুর রেলিংয়ে ৬ হাজার ৪৭৩টি প্যারাপেট ওয়াল স্থাপন হয়ে গেছে। বাকি মাত্র ১ হাজার ৩৮০টি।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর সর্বশেষ স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর পুরোটা দৃশ্যমান হয়। এর ফলে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরাকে যুক্ত করেছে পদ্মা সেতু।
এর আগে মূল সেতুর ঠিকাদার চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির (এমবিইসি) সঙ্গে চুক্তি অনুসারে প্রথমে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সেতুটি চালুর সময়সীমা ঠিক করা হয়েছিল। এরপর ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। সর্বশেষ সরকারি ঘোষণায় আগামী বছর জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু চালুর কথা বলা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর ব্যয় ধরা আছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। ২০০৭ সালে পদ্মা সেতুর প্রকল্প নেওয়া হয়। তখন ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। কাজ শেষ করার কথা ছিল ২০১৫ সালে। এরপর তিনবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।