বিজ্ঞাপন
জি ভয়েস ডেস্ক: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশে ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ফাইজার বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ সংরক্ষণ ও পরিবহন ব্যবস্থা। এবার ফাইজারের ভ্যাকসিন পাবে সিলেটও।
জানা গেছে, গেল জুলাই থেকে ফাইজারের ভ্যাকসিন শুধুমাত্র ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রয়োগ করা হচ্ছিল। তবে এবার এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিধি বাড়ছে। সিলেটসহ দশটি সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রয়োগ করা হবে এই ভ্যাকসিন। একইসাথে রাজধানীর বাইরে ১৯টি জেলায়ও এই ভ্যাকসিন পাবেন সাধারণ মানুষ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, দেশে বর্তমানে ৪৯ লাখ ডোজ ফাইজার ভ্যাকসিন রয়েছে। আরও ভ্যাকসিন দেশে আসার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সূত্র জানায়, ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রয়োগে মূল চ্যালেঞ্জ হলো এর রক্ষণাবেক্ষণ। ১২ ঘণ্টার মধ্যে এই ভ্যাকসিন কেন্দ্রে পৌঁছানোর পরে প্রয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে ফাইজারের ভ্যাকসিনের জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রাও। বর্তমানে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার পরে সিলেটসহ অন্যান্য এলাকায় ভ্যাকসিন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিলেট ছাড়াও যেসব এলাকায় ফাইজার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে, সেগুলো হলো— চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, খুলনা সিটি করপোরেশন, বরিশাল সিটি করপোরেশন, রংপুর সিটি করপোরেশন, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন।
অবশ্য ভ্যাকসিন প্রয়োগের দিনক্ষণ এখনও নির্ধারিত হয়নি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের বাইরে রয়েছেন। তিনি ফিরলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘১ জুলাই থেকে ফাইজারের ভ্যাকসিন রাজধানীতেই দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু এবার ঢাকা ছাড়াও বড় বিভাগীয় শহর ও জেলা পৌরসভায় দেয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি শেষ করে অচিরেই দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের ভ্যাকসিন সংরক্ষণের পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে। যে গতিতে ভ্যাকসিন আসছে তাতে করে সংরক্ষণের কোনো সমস্যা আমাদের হবে না। মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার ফাইজারের ভ্যাকসিন সংরক্ষণে আমরা ২৬টি আলট্রা লো ফ্রিজার পেয়েছি। সামনে আরও ভ্যাকসিন আসবে।’