বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজ গেইটের সামনে ছুরিকাঘাতে আরিফুল ইসলাম রাহাত (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে।
নিহত ওই শিক্ষার্থী দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পুরাতন তেতলি এলাকার সুরমান আলীর ছেলে ও দক্ষিণ সুরমা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। রাহাত মা বাবার একমাত্র সন্তান। তার মৃত্যুতে রাহাতের মা বার বার মুর্চা যাচ্ছেন।
এই খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের তীর সিলেটের কাশ্মির গ্রুপের কর্মী ছাত্রলীগ নেতা সামসুদ্দোহা সাদির বিরুদ্ধে। এসময় তার সঙ্গে ছিল তানভীর নামের আরেকজন।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী সাদি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজর থানাধীন সিলাম পশ্চিমপাড়ার আব্দুস সালামের ছেলে এবং তার সঙ্গে থাকা তানভীর একই এলাকার জামাল মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে রাহাত প্রাইভেট পড়ার জন্য চাচাতো ভাই রাফিকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। যাবার পথে দক্ষিণ সুরমা কলেজের গেইটে রাফিকে রেখে রাহাত কলেজের ভিতরে যায়। এরপর যখন বের হয় তখন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে উৎপেতে থাকা সাদি ও তানভীর মটরসাইকেল যোগে এসে রাহাতের ডান পায়ের উরুতে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়৷ এসময় তাৎক্ষণিক রাহাতকে তার বন্ধুরা উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে যেখানের কkর্তবরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এ ঘটনার পর বিকেল সাড়ে ৩টায় খুনীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক আধাঘন্টা অবরোধ করে রাখে কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। পরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদারের আশ্বাসের ভিত্তিতে আধা ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা। এদিকে এ ঘটনায় কলেজে ৩ দিনের জন্য পাঠদান বন্ধের নোটিশ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে পরীক্ষা চলবে। কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় বিষয়টি গণমাধ্যম -কে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করবে।
এছাড়াও ‘খুনিকে’ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, এ ঘটনায় জড়িত সাদি ও তার সহযোগি তানভিরকে দ্রুত গ্রেফতারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।