Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১
সর্বশেষ সংষ্করণ 2021-10-11T15:27:46Z
জাতীয়

আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে রাশিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

জি ভয়েস ডেস্ক: দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে রাশিয়ার সমর্থন এবং সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে চাই এবং এ ব্যাপারে রাশিয়ার অব্যাহত সহযোগিতার প্রয়োজন।’ খবর-বাসস।

সোমবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের পরে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।

রোববার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিপি) মূল যন্ত্র রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায়  বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। এতে রোসাটম মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বলা হচ্ছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে রাশিয়ার সেরা কর্ম কৌশল চর্চা, বহু বছরের অভিজ্ঞতা এবং বৈজ্ঞানিক চিন্তাকে কাজে লাগানো হয়েছে এবং প্যাসিভ সিস্টেমের অনন্য সংমিশ্রণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপদ পরিচালনা নিশ্চিত করবে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পিত স্তরের নিশ্চয়তা দেবে। পাবনার আরএনপিপি, যার দুটি ইউনিট রয়েছে যার প্রত্যেকটির ক্ষমতা ১২শ’ মেগাওয়াট। এটি দেশের প্রথম এ ধরনের বিদ্যুৎ প্রকল্প।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই দক্ষিণাঞ্চলে আরও একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। 

সাক্ষাতকালে নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালককে স্থানীয়দের প্রশিক্ষণ দেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে তারা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (আরএনপিপি) চালাতে পারেন।

আলেক্সি লিখাচেভ বলেন, বাংলাদেশ এবং রাশিয়ার পারস্পরিক সহযোগিতা পারমাণবিক ক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে এবং ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তিধর দেশে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, আরএনপিপি পরিচালনার জন্য তারা বাংলাদেশিদের প্রশিক্ষণ দেবেন এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাতে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

তিনি স্থানীয় কর্মীদের প্রশংসা করে বলেন, ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান এবং অন্যান্য জনবলসহ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ আরএনপিপিতে কাজ করে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন। অনেক বাংলাদেশি কোম্পানিও সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করছে। তিনি আরএনপিপি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পরমাণু কমিশনের সহযোগিতারও প্রশংসা করেন। 

নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি জানান, তারা আরএনপিপি’র নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিবেন এবং তারা প্লান্টের কাছাকাছি এলাকায় সামাজিক উন্নয়নেও কাজ করছেন।

তিনি প্রধানমন্ত্রীর সামনে আরএনপিপির কারিগরি ও নিরাপত্তার দিকগুলোও উপস্থাপন করেন। আলেক্সি লিখাচেভ আরএনপিপি বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন রাশিয়ান ফেডারেশনের সমর্থনের কথাও স্মরণ করেন। তিনি মহাপরিচালককে বলেন, কভিড-১৯ মহামারী বাংলাদেশের অগ্রগতি কিছুটা থামিয়ে দিয়েছে, কিন্তু এখন তা কাটিয়ে উঠে এগিয়ে যাচ্ছে।

রোসাটম’র মহাপরিচালক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আরএনপিপিতে কর্মরত ৯০ শতাংশের বেশি রাশিয়ান নাগরিক তারা টিকা দিয়েছেন।

এ সময়  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব জিয়াউল হাসান উপস্থিত ছিলেন। 

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ