বিজ্ঞাপন
জাহিদ উদ্দিন: গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ বাজারের উপর দিয়ে বয়ে চলা একসময়ের খরস্রোতা কাকেশ্বর নদী এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। অবৈধ দখল এবং আবর্জনার স্তূপে নদীই এখন খুঁজে পাওয়া দায়।
জানা যায়, একসময় কাকেশ্বর নদীপথে নৌকায় মালপত্র আনা নেওয়া হতো। খরস্রোতা এ নদীটি ঢাকাদক্ষিণ বাজার থেকে পূর্বদিকে গিয়ে কুশিয়ারা নদীতে সংযুক্ত হয়েছে। অপর দিকে বাজারের পশ্চিমমুখি হয়ে দত্তরাইল, খর্দ্দাপাড়া, নিজ ঢাকাদক্ষিণ হয়ে দেওরভাগা নদীতে সংযুক্ত হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকাদক্ষিণ বাজারস্থ কাকেশ্বর নদী দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বহু অবৈধ স্থাপনা। কোথাও কোথাও ময়লা আবর্জনা ফেলে ধীরে ধীরে দখলদাররা ভরাট করে নদীর উপর বাড়ি-ঘর তৈরি করছে। এতে করে নদীটি সংকুচিত হয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।
এ ব্যাপারে ঢাকাদক্ষিণ বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল মন্নান জানান, দখলদারদের কারণে আজ নদীটি অস্তিত্ব সংকটে। নদীটি দখল মুক্ত ও খনন করলে ঢাকাদক্ষিণ বাজারের জলাবদ্ধতা সমস্যা দূর হবে।
বর্ষাকালে পানি জমে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘরের ভিতরে ঢুকে যায়। এতে ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ঢাকাদক্ষিণ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি জামাল উদ্দিন জানান, ময়লা, আবর্জনা ফেলা ও অবৈধভাবে দখলে নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদীর পানি প্রবাহিত হতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় এবং নদীর ধারণ ক্ষমতা না থাকাতে বর্ষা মৌসুমে ঢাকাদক্ষিণ বাজারে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। নদী খনন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলে এ সমস্যার সমাধান হবে। এজন্য তিনি সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ গোলাম কবির জানান, কাকেশ্বর নদীটির খোঁজখবর নিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও খননের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসব কাজ আমার একার পক্ষে সম্ভব না এজন্য সকলের সাহায্য ও সহযোগিতা প্রয়োজন।