বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ: প্রথম, দ্বিতীয় ধাপে আসেনি গোলাপগঞ্জের নাম। তৃতীয় অথবা চতুর্থ। যে কোন ধাপে আসবে গোলাপগঞ্জ উপজেলার নাম। হয়তো এক সাথে সব ইউনিয়ন না হয় অর্ধেক করে আসতে পারে ইউনিয়নের নাম।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে গেল এক বছর থেকে ব্যানার-ফেস্টুন টাঙিয়ে সম্ভাব্যরা জানান দিচ্ছেন তারা নির্বাচনে এক পায়ে খাড়া। তফসিল ঘোষণার আগেই উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে নির্বাচনী আমেজ। তাইতো উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। ভোটারদের ধারে ধারে ছুটছেন। আশ্বাস আর আশ্বাস দিচ্ছেন। ভোটররাও শুনছেন কানভরে। আবার প্রার্থীরা কাছ থেকে সরে গেলে করছেন আলোচনা-সমালোচনা। দূর থেকে মানুষ দেখলে হাত লম্বা করে সালাম দিতে ভুলছেন না প্রার্থীরা। কাছে এলে বুকে টেনে নিচ্ছেন আদর করে।
খুঁজ নিয়ে জানা যায়, এগারোটা ইউনিয়নে প্রতিবারের মত এবারো প্রায় ৭০-৮০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। তবে প্রতিটি ইউনিয়নে দলীয় প্রতীক নৌকার মনোনয়ন পেতে মরিয়া প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সাবেক বর্তমানরে নৌকার মনোনয়ন পেতে ধারে ধারে ঘুরছেন নেতাদের। প্রতিটি ইউনিয়নে মেম্বার বা সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারদের সংখ্যা অগনিত। সবাই নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে নেমে পরেছেন।
ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণা পুরোদমে শুরু করেছেন। প্রতিদিন ছোট-বড় সভা চালিয়ে যাচ্ছেন। হাটে-বাজারে সব জায়গায় নির্বাচনী প্রচারণা। হোটেল-মুটেলে ৪-৫ জন মানুষ এক সঙ্গে হলেই জমে যায় নির্বাচনী আলাপ। সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচনে মানুষের মধ্যে তেমন আগ্রহ দেখা না গেলেও ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহ থাকে তুঙ্গে।
এদিকে বরাবরের মত এবারো প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতির শেষ নেই। সব প্রার্থীরাই বলছেন তিনি নির্বাচিত হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রতিটি এলাকায় উন্নয়ন করবেন। জন্ম, মৃত্যু, নাগরিক সনদ বিনামূল্যে করে দিবেন। ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়নে পরিণত করবেন। ইউনিয়নের ছোট-বড় সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাবেন। ইউনিয়নের তহবিল ছাড়াও নিজেদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অসহায়দের সহযোগিতা করে যাবেন। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ব্যাপক ভূমিকা পালন করবেন। শিক্ষা খাতে ভূমিকা রাখবেন। গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সুযোগ করে দিবেন ইত্যাদি।
তবে বরাবরের মত এবারো প্রার্থীদের এসব প্রতিশ্রুতিতে কান দিচ্ছেন না ভোটররা। তারা বলছেন, নির্বাচন এলে সবার দেখা মিলে। নির্বাচন শেষ হলে সবাই নিখোঁজ। প্রতিশ্রুতি বরবারই দেন। বাস্তব তো আর করেন না। পিছনে জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ে ভুল করলেও আর ভুল করতে চাই না।