বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটে মাত্র ১১ ঘণ্টার ব্যবধানে একই এলাকার তিন বাড়ি থেকে তিনটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। এর মাঝে দুটি অজগরই মুরগির ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান বন বিভাগের টিলাগড় বিটের এনিমেল কিপার মো. মাসুদ হাওলাদার।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টা থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার মধ্যে অজগরগুলো উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, একটি অজগর উদ্ধার করা হয় টিলাগড় ইকো পার্ক সংলগ্ন বালুচর জোনাকি এলাকার শাহ আলম মেম্বারের বাড়ি থেকে। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টায় ঘুমাতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে বাড়ির লোকজন ঘরের বারান্দায় বিশালাকারের একটি অজগর দেখতে পান। মুহূর্তে আতংকিত হয়ে প্রথমে অজগরটি মেরে ফেলার চেষ্টা করা হলেও পরে শাহ আলম মেম্বারের পরামর্শক্রমে আঘাত না করে খবর দেওয়া হলে অজগরটি উদ্ধার করি।
এ অজগরটি উদ্ধারের ঘণ্টাখানেক পর কাছাকাছি এলাকা আলুরতল থেকে আরও একটি অজগর উদ্ধার করা হয় বলে জানান মো. মাসুদ হাওলাদার। তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১২ টার দিকে আলুরতল এলাকার আব্দুল মন্নান নামের আরো একজনের বাড়ির মুরগির ঘর থেকে একটি অজগর উদ্ধার করা হয়। পরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার সময় মেজরটিলা সৈয়দপুর এলাকার রাবেয়া বেগম নামের এক নারীর বাড়ি থেকে মোবাইলে আরও একটি অজগরের কথা জানানো হয়। খবর পেয়ে তিনি সাড়ে ১০ টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অজগরটি উদ্ধার করেন।
তবে এ বাড়ি থেকে এটিই প্রথম নয়, সপ্তাহের ব্যবধানে রাবেয়া বেগমের বাড়ি থেকে তিনটি অজগর উদ্ধার করা হয়। এর আগে তার বাড়ি গত ১ ও ২ অক্টোবর আরও দুইটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছিলো বলে জানান টিলাগড় বিটের এনিমেল কিপার মো. মাসুদ হাওলাদার।
উদ্ধারকৃত তিনটি অজগরই টিলাগড় ইকো পার্কে অবমুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. তৌফিকুলি ইসলাম বলেন, আমি নতুন এসেছি। শুনেছি এসব এলাকায় প্রচুর টিলা আছে। হয়ত খাদ্য সংকটে অজগরগুলো লোকালয়ে চলে আসছে। তবে অজগরের বিষক্রিয়া না থাকায় আতংকিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানান তিনি।