বিজ্ঞাপন
জি ভয়েস ডেস্ক : শীতের শাকসবজিতে ভরপুর সিলেটের বাজারগুলো। তবে এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সেগুলো। ৫০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি ধনেপাতা, কাঁচামরিচের দামও কমেনি।
নগরীর রিকাবীবাজার, বন্দরবাজার, আম্বরখানা, মদীনামার্কেটসহ বেশ কয়েকটি এলাকার কাঁচাবাজারে এমন চিত্রই দেখা গেছে। সবজি বিক্রেতারা জানান, পূজাপার্বণ, পাশাপাশি চাহিদার চেয়ে সংগ্রহ কম হওয়ায় শাক–সবজির দাম কমছে না। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে শাক-সবজির যেমন চাহিদা তেমন জোগানও রয়েছে। কিন্তু বিক্রেতারা দাম ছাড়ছেন না।
নগরীর কাঁচাবাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। টমেটো ৮০ থেকে ১২০ টাকা, বাঁধাকপি ছোট ৪০ থেকে ৭০ টাকা, ফুলকপি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা কেজি ও কাঁচামরিচ ১৫০ টাকা কেজি। এ ছাড়া ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে মুলা, বরবটি, পটল, বেগুন।
নগরীর আম্বরখানা বাজারে সবজি কিনতে আসা তুহিন বলেন, ‘শাক সবজির দামতো কমছেই না। বিক্রেতারা নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে রাখছেন। আমরাও অপারগ হয়ে উচ্চ মূল্যে ক্রয় করছি।’
তবে শুধু যে কাঁচাবাজারে সবজির দাম বেশি তা নয়। ভ্যানে করে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারাও চড়া দামে বিক্রি করছেন শাক–সবজি। নগরীর সাগরদিঘী পাড় এলাকার গৃহিণী মরিয়ম বেগম বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সবজি নিয়ে আসেন বিক্রেতারা। বাজারের চেয়ে ভ্যানে সবজির দাম কম থাকে। তাই প্রায় প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের কাছ থেকে শাক সবজি কিনি। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে তাঁদের কাছ থেকেও বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। বেশি দাম কেন জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানান, তাঁরা পাইকারের কাছ থেকে বেশি দামে কিনেছেন।’
আম্বরখানা বাজারের সবজি বিক্রেতা শমসু মিয়া বলেন, ‘আমরা খুচরা বিক্রেতা। পাইকারের কাছ থেকে মাল বেশি দামে কিনলে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। সবজির দাম বেশি হওয়ার কারণ স্থানীয় চাষিদের সবজি বাজারে আসেনি।’