বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ : আজ থেকে ৫ মাস আগে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায় গোলাপগঞ্জ পৌর শহরে অবস্থিত ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ। চলতি বছরের ২ জুন ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী আগুনে বুথের ভিতরের দামি সব জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পুড়ে যাওয়ার এতদিন পরও মেরামত হয়নি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অবস্থিত এটিএম বুথটি। এতে যথারীতি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
এদিকে পৌর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে বুথটি হওয়ায় যে কোন সময় গ্রাহকেরা অনায়াসে টাকা উঠাতে পারতেন। হঠাৎ কারো টাকার প্রয়োজন হলে তাড়াতাড়ি এসে টাকা তুলতে পারতেন। এমনই গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় এতদিন ধরে অচল পড়ে আছে বুথটি। যার কারণে হাজারো গ্রাহকদের ভোগান্তি এখন চরমে। কবে ঠিক হবে এটিএম বুথ সে বিষয়েও নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, এখনো আগুনের ধোঁয়ার দাগ লেগে আছে বুথের দেয়ালে। বন্ধ রয়েছে সাটার। বুথ বন্ধ থাকায় বুথের সামনে গ্রাহকদের উপস্থিতি না থাকলে ব্যাংকে বেড়েছে ভিড়।
ইসমাইল হোসেন নামে এক গ্রাহক বলেন, 'বুথ বন্ধ থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে। আগে যে কোন সময় কার্ড দিয়ে টাকা তুলতে পারতাম। এখন সামান্য টাকা তুলতে ব্যাংকে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।'
সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন মাহমুদ বলেন, ' গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় ৫ মাস ধরে এটিএম বুথ বন্ধ রয়েছে। ৫ মাস ধরে অল্প টাকা তুলতে হলে দিনে সময় না পেলে অন্যান্য সময় ঢাকাদক্ষিণ বা হেতিমগঞ্জ যেতে হয়। দ্রুত এটিএম বুথ মেরামত করার অনুরোধ জানান তিনি।'
গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান চৌধুরী জানান, 'পৌর শহরে ডাচবাংলা ব্যাংকের অন্য কোন এটিএম বুথ না থাকায় প্রায় সময় ৫কিলোমিটার দূরবর্তী হেতিমগঞ্জ ও ঢাকাদক্ষিণ বাজারে গিয়ে টাকা উত্তোলন করতে হয়। এতে মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, পৌরশহরে বিকল্প জায়গায় হলেও গ্রাহকদের সুবিধার্থে দ্রুত এটিএম বুথ চালু করা উচিৎ।'
এ বিষয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক চৌধুরী আবুল কালাম পারভেজ জানান, 'আমরা ফায়ার সার্ভিসের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষায়৷ তারা রিপোর্ট দিলে যে কোন দিন আমরা কাজ শুরু করে দিব।'
কবে রিপোর্ট আসবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ফায়ার সার্ভিসের সাথে যোগাযোগ রাখছি। তারা বলছে, রিপোর্ট ঢাকা থেকে ওকে হয়ে সিলেট এসেছে। সিলেটের একজন স্যারের স্বাক্ষর হওয়ার পর আবারও ঢাকায় যাবে রিপোর্ট। এরপর সেখান থেকে আরও একজন স্যারের স্বাক্ষর হওয়ার পর রিপোর্ট আসবে।'
তিনি বলেন, 'বুথ বন্ধ থাকায় আমাদেরও সমস্যা হচ্ছে। প্রতিদিন ব্যাংকে ভিড় বাড়ছে। অল্প টাকা যারা কার্ড দিয়ে বুথ থেকে তুলতে পারতেন তারাও চেক দিয়ে ব্যাংক থেকে তুলতে হচ্ছে। যে কারণে হাজারো গ্রাহকদের ভোগান্তি হচ্ছে।'