বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : বিগত বিএনপি আমল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্তদের মধ্যে ১০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ কথা জানান।
নুরুন্নবী চৌধুরী তার প্রশ্নে দেশের মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা জানতে চাওয়ার পাশাপাশি কতজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করা হয়েছে তা জানতে চান।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'দেশে গেজেটধারী বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা এক লাখ ৮৩ হাজার ৫৬০ জন। ২০০২ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে যাদের নাম বেসামরিক গেজেটে প্রকাশিত হয়েছিল, যাচাই-বাছাই করে প্রায় ১০ হাজার বেসামরিক গেজেট বাতিল করা হয়েছে।'
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন অন্তর্ভুক্তি এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম বাতিল সংক্রান্ত যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, 'বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ইস্যুকৃত সাময়িক সনদের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ডিজিটাল সনদ (স্থায়ী সনদ) এবং জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ডিজিটাল স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদান করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।'
ডিজিটাল সনদ তৈরি সম্পন্ন হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) মাধ্যমে একযোগে বিতরণ করা হবে।
নোয়াখালী-৩ আসনের সরকার দলীয় মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় এক হাজার ৭০০ সদস্যের পরিবারকে সরকার রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ১৩টি পরিবারকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। বাকি সম্মাননার ক্রেস্টগুলোতে মূল্যবান ধাতু রৌপ্য দ্বারা নির্মিত স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতি থাকায় তা নিরাপত্তা হেফাজতে সংরক্ষণ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের সুরক্ষিত ভল্টে রাখা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্রেস্ট প্রাপকের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।