বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক : গোলাপগঞ্জে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মহরম আলী বাদী হয়ে এ মামলা (মামলা নং-০৬) দায়ের করেন। মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৩০০/৪০০ জনকে আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিক ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের চারজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ফুলবাড়ি ইউনিয়নের রফিপুর দক্ষিণ মাইজভাগ গ্রামের মৃত তোয়ারিছ আলীর পুত্র মো. ফলিক আহমদ (৩০), পৌর এলাকার দীঘিরপার গ্রামের মৃত সাদেক আলীর পুত্র মিরন আহমদ (২৮), ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হাজীপুর ঘনশ্যাম গ্রামের আলতাবুর রহমানের ছেলে, সামাদুর রহমান অপু (২৬), একই গ্রামের মৃত মস্তর আলীর পুত্র আব্দুর রহিম (৩৮)।
এর আগে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ি ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এমরান হোসেন ও তাঁর সমর্থকেরা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের বৈটিকর এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। এ সময় পুলিশ ২৬৭ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে। রাত ১০টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবদুস সালাম (৬০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।