বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : প্রবাসে থাকা দুই সন্তানের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের জন্য তাদের মাকে যৌন হেনস্তা করে সেই ভিডিও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এমন ঘটনা ঘটেছে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায়।
হেনস্তার সাথে জড়িত চার ব্যক্তিকে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ বলছে, তাদের আটকে অভিযান চলছে।
সোমবার বিকেলের দিকে ওই ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বেনামি একাধিক আইডি থেকে সাড়ে ৪ মিনিটের ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
এতে দেখা যায়, চারজন যুবক একজন মধ্যবয়স্কা নারীকে টানাহেঁচড়া করছেন। কখনো তার শাড়ির আঁল ধরে টানাটানি করছেন। এসময় নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য ওই নারীকে কাকুতি মিনতি করতে দেখা যায়।
ওই নারীর আত্মীয়দের দাবি, এমন ভিডিও করে ওই নারীর প্রবাসী ছেলেদের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে দুর্বৃত্তরা।
ওই নারীর এক আত্মীয় জানান, গত ২৮ আগস্ট দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। নারীর বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব। তার স্বামী নেই। চার মেয়ে ও দুই ছেলে। মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুই ছেলে দুবাইপ্রবাসী। বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন। ২৯ আগস্ট বাড়িটি তালাবদ্ধ করে তিনি হঠাৎ প্রতিবেশী কাউকে না জানিয়ে পাশের গ্রামে তার বাবার বাড়িতে চলে যান। হঠাৎ বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার কারণ জানতে গিয়ে আত্মীয়রা ওই নারীর মুখে ঘটনাটি শোনেন। এরপর প্রবাস থেকে তার দুই ছেলে তাঁদের জানিয়েছেন, ভিডিওটি তাঁদের দুই ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চেয়েছেন এক ব্যক্তি।
নারীর এক আত্মীয় বলেন, প্রবাসে থাকা দুই ছেলে উদ্বিগ্ন হয়ে জানিয়েছেন, ভিডিও ধারণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কিছু টাকাপয়সা দিয়ে সম্পূর্ণ ভিডিও উদ্ধার করার জন্য। এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তারা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে গত বুধবার রাতে একটি সালিস বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ভিডিও ধারণকারীদের চার লাখ টাকা দেওয়ার ফয়সালা করে অগ্রিম এক লাখ টাকা দেওয়া হয়। গত শনিবার এ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। টাকা না দেওয়ার এক দিন পর ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার খবর পান তারা।
এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে এ রকম ভিডিও পেয়ে আমরা সংগ্রহ করে দেখেছি। যে চার ব্যক্তি ওই নারীকে হেনস্তা করেছেন, তাদেরও শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের আটক করতে অভিযান চলছে।
সূত্র: প্রথম আলো