বিজ্ঞাপন
জি ভয়েস ডেস্ক: করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে মানিকগঞ্জ এসকে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী সুবর্ণা ইসলাম রোদেলা।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি।
মৃত শিক্ষার্থী মানিকগঞ্জ জেলা শহরের বেউথা এলাকার বশির উদ্দিন মোল্লার মেয়ে রোদেলা। শ্রেণিতে তার রোল নম্বর ছিল-১।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত তিন দিন ধরে রোদেলার জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধও খেয়েছে। কিন্তু বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে মারাত্মকভাবে শ্বাসকষ্ট, গলা ও বুকে ব্যথা উঠে অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে দ্রুত মুন্নু জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে পরীক্ষায় তার করোনা ধরা পড়ে। পরে তার শরীরের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে গাবতলী এলাকায় সে অ্যাম্বুলেন্সে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরে ইবনে সিনা হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুন্নু জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান আরটিভি নিউজকে বলেন, রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। পরীক্ষার পর তার করোনা শনাক্ত হওয়া এবং খুবই সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে দ্রুত রাজধানীর কুর্মিটোলা বিশেষায়িত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।
মানিকগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কাজী একেএম রাসেল আরটিভি নিউজকে বলেন, একজন ছাত্রী করোনায় আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ছাত্রী করোনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে এসেছিল।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ আরটিভি নিউজকে বলেন, মেয়েটি গত ১৫ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ স্কুলে গিয়েছিল। তখন তার শরীরে কোন সমস্যা ছিল না। গত ৩ দিন ধরে তার জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। গতকাল বুধবার দুপুরে তাকে মুন্নু হাসপাতালে নেয়া হয় এবং সেখান থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে সে মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, রোদেলা করোনায় আক্রান্ত ছিল কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এর আগে ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী করোনা পজিটিভ হওয়ায় শ্রেণির পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে তার ৫৮ জন সহপাঠীকে করোনা পরীক্ষা করোনো হয়েছিল। তবে কারও দেহে করোনা শনাক্ত না হওয়ায় এবং আক্রান্ত শিক্ষার্থী সুস্থ হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে ওই শ্রেণির পাঠদান চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।