বিজ্ঞাপন
স্টাফ রিপোর্ট : গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত গোয়াইনঘাটের কুখ্যাত ডাকাত হারুন রশীদ (৪২) কে খুঁজছে পুলিশ। ঢাকাদক্ষিণের মিশ্রপাড়ায় ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড ছিল ডাকাত সর্দার হারুন রশীদ।
এঘটনায় জড়িত সুহেল আহমদ নামের এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করলে সোমবার সন্ধ্যায় সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লায়লা মেহের বানু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সে। এই ডাকাতির সাথে কারা জড়িত এবং কিভাবে ডাকাতি করা হয়েছে তার পূর্ণ বর্ণনা দেয় সুহেল। এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. লুৎফর রহমান।
তিনি বলেন, সুহেল (২২) স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিয়ে ডাকাতির ঘটনার পুরো বর্ণনা দিয়েছেন।
জানা যায়, ঢাকাদক্ষিণ মিশ্রপারা গ্রামের জ্ঞান সেনের বাড়িতে ডাকাতি করে দত্তরাইল (হুকনিয়ার মুড়া) জামে মসজিদের ইমামকে জিম্মি করে মসজিদে আশ্রয় নিলে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আরিফ আহমদ (২৭) নামের এক ডাকাত। প্রথম দিকে নিহত আরিফের পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার রাতে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের নগর ডেংরী গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। ডেংরী আরিফের গ্রামের বাড়ি। পুলিশ গ্রাম থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে সুহেলকে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুহেল ডাকাত দলের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে তাকে মামলার আসামি করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পাইপগান, ক্যামেরা ও কিছু টাকা উদ্ধার করা হয়। এরপর সুহেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এই ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড ছিল গোয়াইঘাটের কুখ্যাত ডাকাত হারুন। কুখ্যাত ডাকাত হারুন গোয়াইনঘাট উপজেলার নগির ডেংরী গ্রামের মৃত মুহিবুর রহমানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট, জৈন্তাাপুর, বিয়ানীবাজার থানায় অস্ত্র, ডাকাতিসহ মোট ৭টি মামলা রয়েছে।
এসব মামলায় তাকে গত ১১জানুয়ারি সন্ধ্যায় গোয়াইনঘাট থানার মানিকগঞ্জ বাজারে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এরপর প্রায় ৮মাস জেল কেটে গত ১৫ দিন আগে বাড়িতে আসে সে। ছাড়া পেয়েই সে গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণে ডাকাতির পরিকল্পনা করে।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী বলেন, ডাকাতির ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি জড়িতদেরও গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, ঢাকাদক্ষিণে ডাকাতির ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ ডাকাতির শিকার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের দত্তরাইল মিশ্রপাড়া গ্রামের জ্ঞান সেনের পুত্র দোলাল সেন বাদী হয়ে একটি ডাকাতি মামলা (মামলা নং- ১৩/১২-০৯-২০২১ইংরেজি) দায়ের করেন। এই মামলা অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামীকে করা হয়। এদিকে ডাকাতের গুলিতে আহত হওয়ার ঘটনায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এস আই জহির বাদী হয়ে একটি অস্ত্র মামলা (মামলা নং-১৪-১২-২০২১ইংরেজি) দায়ের করেন। এই মামলায়ও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত করে আসামী করা হয়। এছাড়াও ডাকাত নিহতের ঘটনায়ও এস আই জহির বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা। (মামলা নং-১৫/১২-০৯-২০২১ইংরেজি) দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় অজ্ঞাত ৩০০/ ৪০০ জনকে আসামী করা হয়।