বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ: টানা ৫৪৩ দিন পর সারাদেশে আজ থেকে খুলে দেয়া হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক শুরু হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম দিনের কার্যক্রম।
গোলাপগঞ্জেও যথা সময়ে খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণায় গত কয়েকদিন থেকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা শুরু হয় উপজেলার প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। অপেক্ষার অবসান হয় আজ সকালে। সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়ার জন্য তৈরি ছিলেন প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। এতদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা। আনন্দ বইছে শিক্ষক, অভিভাবকদের মাঝেও।
উপজেলার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মাস্ক, স্যানিটাইজার, তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন শিক্ষকরা। প্রতিটি শিক্ষার্থীদের সামাজিক দূরত্ব বজার রেখে লাইনে দাঁড় করিয়ে তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। তাদেরকে মাস্ক পড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবানুমুক্ত করা হচ্ছে।
তৃতীয় শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী পপি আক্তার। সে জানায়, 'এত আনন্দ লাগছে বুঝানোর ভাষা নেই। এতদিন পর স্কুলে ফিরে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে দেখা হয়েছে। প্রিয় শিক্ষকদের সাথে দেখা হয়েছে।'
৫ শ্রেনীর শিক্ষার্থী সবুজ আহমদ বলেন, 'কবে স্কুল খুলবে সেই অপেক্ষায় ছিলাম। গতকাল পর্যন্ত স্কুলে আসার অপেক্ষা করেছি। আজ স্কুলে ফিরে খুবই খুশি লাগছে।'
শফিকুর রহমান নামে এক অভিভাবক বলেন, 'স্কুল বন্ধ থাকায় বাচ্চাদের মাঝে এক ধরণের একঘেয়েমি শুরু হয়েছিল। এতদিন স্কুল বন্ধ থাকায় পড়ালেখার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনলাইনে যদিও ক্লাস হয়েছে তবে সেটা থেকে লাভবান হওয়া যায়নি। বরংছে মোবাইল হাতে থাকায় তারা বিভিন্ন অনলাইন গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে উঠে।'
ফুলবাড়ি ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সাহার বেগম বলেন, 'দীর্ঘ ১৮ মাস পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। আবারো শিক্ষার্থীদের পদচারণয় মুখরিত হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতদিনের ক্ষতি যাতে পুষিয়ে নেয়া যায়, সেজন্য আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব রাখব।'
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দেওয়ান নাজমুল আলম বলেন, 'আমি বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছি। প্রথম দিন উপলক্ষে ৫ম শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিত প্রায় ৯০ ভাগ। তৃতীয় শ্রেনীর প্রায় ৮৩ ভাগ উপস্থিতি আছে। আস্তে আস্তে ১০০ ভাগ হবে ইনশাআল্লাহ। স্বাস্থ্য বিধি মানার ব্যাপারে বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।'