বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটের ওসমানী হাসপাতালের সরকারী ঔষধ বাইরে বিক্রি করার অভিযোগ বেশ পুরনো। এমনকি এসব ঔষধ পাচারকালে একাধিকজন একাধিকবার পুলিশের হাতে আটকও হয়েছেন। কিন্তু ন্যাপথ্যের কারিগররা থেকে যান ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তবে এবার ঔষধসহ পুলিশের হাতে আটকের পর এক নার্সের নাম বলেছেন আটককৃত ব্যক্তি।
আটক ব্যক্তির নাম বাবুল হোসেন (৪০)। সে সিলেট নগরীর খাসদবির এলাকার চুনু মিয়ার ছেলে। শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুর ১ টার দিকে বেশ কিছু সরকারী ঔষধ নিয়ে সে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে দেন। এসময় তার কাছ থেকে বেশ কিছু সরকারি ঔষধ এবং ইনিজেকশন উদ্ধার করা হয়।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জয়নাল। তিনি সিলেট ভয়েসকে বলেন, তাকে আটক করা হয়েছে। থানায় পাঠানো হবে। বিস্তারিত থানা থেকে জানা যাবে।
এদিকে একটি সূত্র জানায়, আটককৃত বাবুল হোসেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের লেবার অটির (ডেলিভারি ওয়ার্ড) নার্সের ইনচার্জ খাদিজা খানের নাম বলেছেন। বাবুলের ভাষ্যমতে ওই ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স খাদিজা তাকে ঔষধগুলো দিয়েছিলেন।
এদিকে খাদিজা খানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঔষধগুলো দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, সে আমার খালাত ভাই। আমার খালু অসুস্থ। তাই তাকে ডাক্তার কিছু ঔষধ লিখে দিয়েছিলো। এজন্য আত্মীয় হিসেবে আমি ঔষধগুলো দিয়েছি। এর বেশি কিছু না। এমনকি ওসমানী হাসপাতালে ২২ বছরের চাকরির জীবনে এমন ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। এ বিষয়টি আমি এখনো জানি না। আমি এসে বিষয়টি দেখব।’