বিজ্ঞাপন
জাহিদ উদ্দিন: গোলাপগঞ্জে প্রায় ১২ কোটি ৫৫লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। ইতিমধ্যে মসজিদ ও সাংস্কৃতিক ভবণের কাজ প্রায় ৪০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
নামাজ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়াও ইসলামিক শিক্ষা ও গবেষণা কেন্দ্রে হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই সাংস্কৃতিক কেন্দ্র । গোলাপগঞ্জে এই প্রথম কোন ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হওয়ায় গোলাপগঞ্জবাসী অনেক খুশী। তাঁরা ইসলামের খেদমতে বর্তমান সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
জানা যায়, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশের ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। এর অংশ হিসেবে গোলাপগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সের বর্তমান মসজিদের স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। উপজেলার আগের মসজিদ ভেঙ্গে এই স্থানে মসজিদ তৈরী করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গোলাপগঞ্জ উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি ৪০ শতাংশ জমির উপরে নির্মিত হচ্ছে। উপজেলা মডেল মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ১ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মডেল মসজিদে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা ছাড়াও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে।
আধুনিক সুবিধা সম্বলিত সুবিশাল মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে থাকবে নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক অজুর স্থান, লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র, কোরআন হেফজ বিভাগ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, মরদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজ্ব যাত্রীদের নিবন্ধন কেন্দ্র ও ইমামদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা। এছাড়াও থাকবে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিস।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: রুহেল আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামী ফাউন্ডেশন তৈরী করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছেন।এর আগে একসঙ্গে এত মসজিদ কেউ তৈরি করেননি, কিন্তু এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই উদ্যোগের ফলে দেশের মানু্ষ প্রকৃত ইসলামের জ্ঞান রপ্ত করবে। আওয়ামীলীগ সরকার সব সময় ইসলামের প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল, এটাই তার প্রমাণ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কবির বলেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলায় মডেল মসজিদ ও ইসলামীক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি গোলাপগঞ্জবাসীর জন্য ইসলামী সংস্কৃতি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি এ উপজেলার ইসলামের ধর্মান্ধতা দূর হবে।