বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ: হাজারো গরু-ছাগলে ভরপুর গোলাপগঞ্জের সরকারি এমসি একাডেমির পিছনের পশুর হাট। সকাল থেকে টানা বৃষ্টি উপেক্ষা করে ব্যবসায়ীরা গরু-ছাগল নিয়ে মাঠে আসতে শুরু করেন। বৃষ্টি শেষ হওয়ার পরও সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে হাটে আসতে থাকেন। সকালে বৃষ্টি হওয়ায় বিকেলের দিকে মানুষের জনসমাগমে কাঁদায় ভরপুর হয়ে যায় পশুর হাট। তারপরও হাটে মানুষ আসছেন। এবারের ঈদে গরুর চড়াও দাম বলে স্বয়ং জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরাও। ক্রেতাদের অভিযোগ তো আছেই। দাম কষাকষি হলেও গরু বিক্রি হচ্ছে কম। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন ১'শ গরুর মধ্যে বিক্রি হচ্ছে ৫ টি। বুঝাই যাচ্ছে পশুর হাটে পরিস্থিতি কেমন। তবে আশা রাখছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। তারা বলছেন, শেষ পর্যন্ত সময় ঘনিয়ে আসলে বেচাকেনা বাড়বে। হাটে মানুষের জনসমাগম প্রচুর। হাটে ক্রেতা কম হলেও দর্শনার্থী বেশি।
শনিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে এমসি একাডেমির পশুর হাটে গেলে দেখা যায়, মানুষের প্রচুর উপস্থিতি। শত শত ব্যবসায়ীরা গরু-ছাগল নিয়ে হাটে এসেছেন। কাঁদার মধ্যেও মানুষ হাটের চারিদিকে ঘুরছেন।
জানা যায়, শুধু সিলেট নয়। সিলেটের বাইরে থেকেও ব্যবসায়ীরা পশু নিয়ে এসেছেন হাটে। যারা বাইরে থেকে এসেছেন তারা ২০/৪০ টি পর্যন্ত ছোট-বড় গরু নিয়ে এসেছেন। শেষ পর্যন্ত গরু বিক্রি করতে না পারলে বাড়বে তাদের লোকসানের বুঝা। একেকটি গরুর পিছনে অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানান তারা। এ গরু নিয়ে আসার পরও অনেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটিও গরু বিক্রি করতে পারেন নি। তবে তারা বলছেন সময় যত বাড়বে, ক্রেতারা আসবেন, গরুও বিক্রি হবে।
সামছুল ইসলাম নামে এক বয়োবৃদ্ধ হাট ঘুরতেছেন। আর গরুর দাম জিজ্ঞেস করছেন। তবে মন মত হচ্ছে না। কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, 'খুব বেশি গরুর দাম। ব্যবসায়ীরা দাম ছাড়ছেন না। এভাবে চললে খুব বড় গরু কিনতে না পারলেও ছোট গরু কিনে কোরবানি দিতে হবে।' শুধু সামছুল ইসলাম নয়। এরকম অনেক ক্রেতারা এমনটাই বলছেন।
দক্ষিণ সুরমা থেকে হাফিজুর রহমান এসেছেন ২০ টি গরু নিয়ে। তিনিও বলছেন 'এবার গরুর দাম বেশি। কিছু করার নেই। ভারত থেকেও গরু না আসার কারণে এমনটাই হচ্ছে। আমরা তো আর লোকসানে গরু বিক্রি করতে পারব না। তবে সময় গেলে বুঝা যাবে পরিস্থিতি কেমন হয়।'