বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ: হাটে প্রচুর গরু-ছাগল উঠছে। মানুষ আসছেন। দাম-দর হচ্ছে। কিন্তু বিক্রি একেবারেই কম। খামারি-ব্যবসায়ীরা তবুও আশা ছাড়ছেন না। শেষ পর্যন্ত ক্রেতারা বাজারে আসবেন, গরু কিনবেন বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের পুরকায়স্থ বাজারে বসেছে বিশাল পশুর হাট। ছোট-বড় হাজারো গরু উঠেছে হাটে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে এসেছেন। একেকজন ব্যবসায়ী ২০/৩০ টি পর্যন্ত গরু নিয়ে এসেছেন। শেষ পর্যন্ত ঈদের আগে গরু বিক্রি হবে। লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে তারা মনে করছেন। এদিকে ক্রেতারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা গরুর দাম ছাড়ছেন না। গতবারের তুলনায় এবার গরু দাম বেশি বলে তারা মনে করছেন।
বুধবার (১৪ জুলাই) বিকেলে সরেজমিন পশুর হাটে গেলে দেখা যায়, রং বেরংয়ের হাজারো গরু খুটিতে বাঁধা রয়েছে। ক্রেতারা এসে দাম-দর করতেছেন। তুলনা মূলক গরু বিক্রি হচ্ছে কম।
বাজার ঘুরে ঘুরে কথা হয় হাটে গরু নিয়ে আসা ব্যবসায়ীদের সাথে। তারা জানান, করোনার কারণে এবার গরুর দাম মাঝামাঝি। খুব বেশি বা কম নয়। মানুষ এসে দাম-দর করতেছেন। কিন্তু গরুর বিক্রি হচ্ছে না। তবে যেহেতু ঈদের এখনও অনেক সময় রয়েছে শেষ পর্যন্ত বেচাকেনা হবে বলে তারা জানান।
সিলেটের শাহপরান থেকে বাচ্চাদের নিয়ে গরু কিনতে এসেছেন রাজ্জাক আহমদ। তিনি বলেন, গরুর দাম বেশি। এমনিতেই মহামারির এই সময়ে অনেক অসুবিধার মাঝে আছি। শেষ পর্যন্ত বড় গরু কিনতে না পারলেও ছোট গরু কিনে কোরবানি দিতে হবে।
সিরাজগঞ্জ থেকে ট্রাক যোগে ৩০ টি গরু নিয়ে এসেছেন মুসাব্বির হুসাইন। তিনি বলেন, ব্যবসা একেবারেই নেই। এখন পর্যন্ত ২ টি গরু বিক্রি করেছি। গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন হাটে ঘুরে গরু বিক্রি করতে হবে। তা না হলে অনেকটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
পুরকায়স্থ বাজার পশুর হাটের মহলদার সেলিম আহমদ জানান, প্রথম দিন হিসেবে ব্যবসা একেবারেই নেই। মানুষ বাজারে এলেও গরু খুব কম বিক্রি হচ্ছে। লকডাউনের কারণে মানুষ বাজারে কম আসতেছেন। আর অনেক ক্রেতা লকডাউনের সময় বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খামারিদের কাছ থেকে গরু কিনে নিয়েছেন। তবে দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়।