বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের কাড়াবাল্লা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বসতবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় দা হাতে ভাইরাল হওয়া সেই যুবতীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১০ জুলাই) বিকেলে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন- ভাঙ্গচুরে নেতৃত্ব দানকারী ছালেহা বেগম, তার মেয়ে নাজমিন বেগম, সুমি বেগম, সুহাদা বেগম, রহিমা বেগম ও ছেলে নাসির উদ্দিন।
কানাইঘাটের কাড়াবাল্লা গ্রামে শুক্রবার বিকেলে মহিলারা হামলা করে ভেঙে ফেলেন প্রতিপক্ষের ঘর। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই হামলা ও ভাঙচুরের ভিডিও দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় আজ শনিবার (১০ জুলাই) সকালে কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা দায়ের ও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম পিপিএম।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বসতবাড়ির জায়গা নিয়ে কাড়াবাল্লা গ্রামের মৃত আব্দুন নুরের স্ত্রী এলাকার আলোচিত মহিলা ছালেহা বেগমের (৪৫) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার ভাসুর মৃত তবারক আলীর ছেলে মইন উদ্দিন লথুর বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে উভয়পক্ষের কয়েকটি মামলা আদালতে বিচারাধীন। কয়েকদিন আগে ছালেহা বেগম সেই বিরোধপূর্ণ জায়গা থেকে বেশ কয়েকটি গাছ বিক্রি করেন। ক্রেতারা গাছ কাটতে আসলে এতে বাধা প্রদান করেন ছালেহা বেগমের ভাশুর মইন উদ্দিন লথু। এসময় বিষয়টি মীমাংসা করার উদ্যোগ নেন স্থানীয় মুরুব্বিরা।
কিন্তু মুরুব্বিরা বিষয়টি সমাধান করার আগেই শুক্রবার (৯ জুলাই) বিকেল ৫ টার দিকে ছালেহা বেগম তার ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের লোকজন হঠাৎ হাতে ধারালো দা ও লাঠিসোটা নিয়ে মইন উদ্দিন লথুর টিনশেড বসতঘর ভাঙচুর করতে শুরু করেন। হামলার সময় প্রাণের ভয়ে ঘর থেকে বাসিন্দারা বের হয়ে যান। পরে ছালেহা বেগম ও তার মেয়েরা ধারালো অস্ত্র ও বাঁশ দিয়ে মইন উদ্দিনের টিনশেডের ঘর ও আসবাবপত্র গুড়িয়ে দেন। স্থানীয় অনেকেই ঘটনাটি দেখলেও ছাহেলা বেগম ও তার মেয়েদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেননি।
এদিকে, ভাঙচুরের পুরো দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করেন স্থানীয়রা। পরে সেটি ভাইরাল হয়ে পড়লে কানাইঘাট ও সিলেটজুড়ে তোলাপাড় সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরের মালিক মইন উদ্দিন লথু বাদি হয়ে শনিবার সকালে কানাইঘাট থানায় ছালেহা বেগমসহ তার পরিবারের লোকজনদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নানা ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছেন বিধবা ছালেহা বেগম ও তার যুবতী মেয়েরা। মামলা-হামলা ও ইজ্জতের ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় কেউ কথা বলতে সাহস পান না।