বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ : কঠোর লকডাউনের ১৪ দিন পর দেশ জুড়ে শিথিল করা হয়েছে লকডাউন। শিথিল লকডাউনের প্রথম দিন পুরনো রুপে ফিরে এসেছে গোলাপগঞ্জ। দোকান-পাট-শপিংমল খুলেছে, রাস্তাঘাটে মানুষের জনসমাগম বেড়েছে, সড়কে গাড়ির যানযট সৃষ্টি হয়েছে। সবকিছু যেন স্বাভাবিক হয়েছে।
এদিকে ১৪ দিন কঠোর লকডাউনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও অনেক ব্যবসায়ী রয়েছেন আজ ব্যবসা শূন্য। উপজেলার অনেক ব্যবসায়ী আজ ১টাকাও ব্যবসা করতে পারেননি বলে জানা যায়। এমন পরিস্থিতিতে সবকিছু খুলে দেয়া হলেও চিন্তিত হাজার-হাজার ব্যবসায়ী। ঈদের মাত্র ৫ দিন বাকি রয়েছে। এ ৫ দিনে ব্যবসায়ীরা তাদের লোকসান পুষাতে পারবেন কি না এনিয়েও চিন্তিত তারা। সচরাচর কোরবানির ঈদে তেমন ব্যবসা হয়না। এ বছর লকডাউনে মানুষের অবস্থা একেবারেই যায়যায়।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলার পৌর শহরের বেশ কয়েকটি শপিংমল ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা শূন্য অনেক দোকান। বেশির ভাগ দোকানের ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করছেন।
ঘুরে ঘুরে কথা হয় অনেক ব্যবসায়ী-ক্রেতাদের সাথে। ব্যবসায়ীরা জানান, আজ প্রথম দোকান খুলেছি। ব্যবসা একেবারেই নেই। মানুষ কম আসছেন দোকানে। অনেক ব্যবসায়ী জানান, তারা আজ সারাদিনে ১ টাকারও ব্যবসা করতে পারেননি। এ যদি অবস্থা হয় তাহলে তাদের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাবে। এদিকে ক্রেতা বলছেন, লকডাউনে তাদের অবস্থা খারাপ। খেয়ে বাঁচা বিষণ দায়। আর কাপড় কিনার চিন্তা তো অনেক দূর।
রিপন আহমদ নামে এক ব্যবসায়ী জানান, আজ সারাদিনে ৩৫০ টাকা বিক্রি করেছেন। এটাকা থেকে দুপুরের নাস্তা খাওয়া হয়েছে। কর্মচারীর ভাতা নিজের পকেট থেকে দিতে হবে।
কসমেটিক ব্যবসায়ী রাশেদ আহমদ বলেন, আজ সারাদিনে ১ টাকাও ব্যবসা হয়নি। ক্রেতা নেই। একজন কাস্টমারও দোকানে আসেনি।
ইসলাম উদ্দিন নামে আরও একজন জানান, পরিস্থিতি খুব খারাপ। আগেই বুঝেছি এ ঈদে ব্যবসা হবে না। ঈদের আগে মানুষ ১৪ দিনের লকডাউনে ছিল। টাকা পয়সা মানুষের হাতে নেই। কি ভাবে মানুষ কিছু কিনবে।