বিজ্ঞাপন
জাহিদ উদ্দিন: গোলাপগঞ্জে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার সকাল দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা মেঘলা থেকেছে আকাশ। তারপর বিকেলে বেশ বৃষ্টি হয়েছে। রাতে বৃষ্টি থামলেও মঙ্গলবার ভোর থেকে টানা বৃষ্টি হয়েছে। এখনো এই বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু না আসলেও এমন বৃষ্টিতে মনে হতেই পারে গোলাপগঞ্জে ঘোর বর্ষা নেমেছে।
বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে, অলিগলিতে পানি জমে গেছে। তৈরি হয়েছে ভোগান্তির। বৃষ্টির পাশাপাশি হালকা বাতাসও হচ্ছে। মাঝেমধ্যে বজ্রপাতও হচ্ছে।
এদিকে এমন বৃষ্টিপাতের জন্য খুশি রয়েছেন কৃষকরা। গত কয়েকদিনের টানা রোদে ফসলি জমি শুকিয়ে চৌচির হয়ে গিয়েছিল। এ নিয়ে খুবই শঙ্কায় ছিলেন কৃষকরা। স্বস্তির বৃষ্টিতে তাদের এই শঙ্কা কেটে গিয়েছে।
পৌর এলাকার ইয়াগুল কৃষক হারুন আলী জানান, খুবই দুঃচিন্তায় ছিলাম বৃষ্টির জন্য। ফসলের জমি শুকিয়ে চৌচির হয়ে গিয়েছিল। এই বৃষ্টিপাতের জন্য এখন নিশ্চিন্ত আছি। তবে অধিক বৃষ্টিপাত হলে ক্ষতি হবে।
সদর ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের কৃষক আব্দুস শহিদ জানান, খুব চিন্তার মধ্যে ছিলাম পানির জন্য। বৃষ্টির কারণে চিন্তামুক্ত হলাম।
ভাদেশ্বর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের জিল্লুর রহমান জানান, এই বৃষ্টি ফসলের জন্য রহমত স্বরূপ এসেছে। তবে অধিক বৃষ্টিপাত ক্ষতির কারণ হতে পারে।