বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ : যারা পেয়েছেন তারা খুশি। আর যারা পাননি তাদের দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে। আদৌ কি তারা টাকাগুলো পাবেন? ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যদের ধারে ধারে গিয়েও কোন আশ্বাস মিলছে না। কোথাও কোন আশা মিলছে না গোলাপগঞ্জের বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রত্যাশীদের।
উপজেলার যে সকল বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রত্যাশীরা আছেন তাদের অনেকে রকেটের মাধ্যমে টাকা পেলেও অনেকে পাননি। যারা পাননি তারা প্রতিদিন ব্যালেন্স চ্যাক করার জন্য ছুটছেন নগদ এজেন্টের দোকানে। বার বার গিয়ে ব্যালেন্স চ্যাক করে নিরাশ হয়ে ফিরে আসছেন।
জানা যায় গত (২৭ মে) বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে উপজেলা জুরে সুর উঠে নগদের মাধ্যমে নিজ নিজ নগদ একাউন্টে বয়স্ক, বিধাবা, প্রতিবন্ধী ভাতা এসেছে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে সুবিধা ভোগীরা ছুটেন নগদ এজেন্টের দোকানগুলোতে। অনেকের ব্যালেন্স চ্যাক করে টাকা পাওয়া গেলেও অনেকে পাননি। যারা পাননি তারা নিরাশ হয়ে ফিরে আসেন। এখনও তারা দুশ্চিন্তায় আছেন তারা কি টাকা পাবেন।
টাকা না পাওয়া অনেকের সাথে কথা হলে তারা জানান, খুবই দুশ্চিন্তায় আছেন। জনপ্রতিনিধিদের কাছে গিয়েও তারা কোন আশ্বাস পাচ্ছেন না। তারা কি টাকা পাবেন এ চিন্তা মাথা থেকে যাচ্ছে না।
সিহাব উদ্দিন নামের বয়স্ক ভাতা প্রত্যাশী একজন বলেন, অনেকে টাকা পাইছে। তবে আমরা অনেকে পাইনি। মেম্বর এর কাছে গেলে তিনি বলেন, কিছু জানেন না। কোথাও কোন আশ্বাস পাওয়া যাচ্ছেনা।
লালই বেগম নামে এক বয়োবৃদ্ধ বলেন, যেদিন শুনি নগদের মাধ্যমে মোবাইলে টাকা আসছে। এদিন আমিও নাতিকে নিয়ে নগদের দোকানে যাই। গিয়ে দেখি আমার টাকা আসে নি।
জাহানারা বেগম নামের আরও একজন বলেন, এই টাকা পেলে চিকিৎসা করাই। চিকিৎসা করিয়ে ঔষধ কিনে খাই। ডাক্তার দেখাব হাতে টাকা নাই। টাকাগুলো যদি পাই তাহলে ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ কিনে খেতে পারব।
এবিষয়ে বক্তব্য জানতে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে এমনকি ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।