বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : জকিগঞ্জ পৌরসভার আনন্দপুর গ্রামের ফায়ার স্টেশন লাগোয়া একটি কৃষিজমিতে গ্যাস পাওয়ার কথা জানিয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে এটি দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার (১৬ জুন) বাপেক্সের প্রতিনিধিদল সার্বিক বিষয় পরীক্ষা করার জন্য ঢাকা থেকে সিলেটে যাবেন। মঙ্গলবার (১৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে কূপের মুখে আগুন জ্বালিয়ে গ্যাসের চাপ পরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা যায়, কূপে গ্যাসের চাপ রয়েছে ১১ হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গ ইঞ্চি)।
বাপেক্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ওই কূপে গ্যাসের চাপ আছে ১১ হাজার পিএসআই। এই চাপের ওপর ভিত্তি করে এটিকে এখনও গ্যাসক্ষেত্র বলা সম্ভব নয়। প্রথম স্তরের পরীক্ষা চলমান। যেটিকে ডিএসটি (ড্রিল স্টিম টেস্ট) বলা হয়। আমরা এ ধরনের পরীক্ষা আরও দুবার করবো। গ্যাসের চাপের ওপর ভিত্তি করে বুধবার বলা যাবে এই কূপ থেকে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস উত্তোলন করা যাবে কি না। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর এটিকে নতুন গ্যাসক্ষেত্র ঘোষণা করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কূপটিতে চার স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কূপের ৩২ কিলোমিটার দূরে বিয়ানীবাজার ও ৪৬ কিলোমিটার দূরে গোলাপগঞ্জের অবস্থান।
এ পর্যন্ত দেশে ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে মজুতের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ টিসিএফ, আরও ছয় টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুত। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৮ টিসিএফ উত্তোলন করা হয়েছে। সে হিসাবে প্রমাণিত মজুত অবশিষ্ট রয়েছে তিন টিসিএফ। সম্ভাব্য মজুত রয়েছে সাত টিসিএফ।