বিজ্ঞাপন
জাহিদ উদ্দিন : গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর তীরে অবস্থিত শরীফগঞ্জ ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পনাইর চক উচ্চ বিদ্যালয়। কুশিয়ারা অঞ্চলের প্রাচীনতম এই বিদ্যালয়টি ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে। এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে অনেক গুণীজনের জন্ম হয়েছে। যারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশ ও জাতির সেবা করে যাচ্ছেন।
কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে কুশিয়ারা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে বিদ্যালয়টির অস্তিত্ব রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনের বিদ্যালটির সীমানা প্রাচীরের একটি অংশ ইতিমধ্যে নদী গর্ভে চলে গেছে। এভাবে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে পুরো বিদ্যালয়টি একদিন নদীগর্ভে তলিয়ে যাবে। রক্ষা করা যাবেনা কুশিয়ারা অঞ্চলের এই প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
পনাইরচক এলাকার খালেদ আহমদ জানান, পনাইরচক উচ্চ বিদ্যালয়ে শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের জন্য একটি আর্শিবাদ স্বরুপ। কিন্তু রাক্ষুসে কুশিয়ারার অব্যাহত ভাঙ্গনে বিদ্যালয়টি যেকোন সময় বিলীন হয়ে যাবে। এখনই বিদ্যালয়টি রক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে বিদ্যালয়টির অস্তিত্ব রক্ষা করা সম্ভব হবেনা । এজন্য বিদ্যালয়টি রক্ষা করতে ব্যবস্থা গ্রহণে জনপ্রতিনিধি সহ সকলের প্রতি দৃষ্টি কামনা করছি।
নজরুল ইসলাম নামের আরেক যুবক জানান, অনেক দিন থেকেই বিদ্যালয়টি হুমকির মুখে রয়েছে। জনপ্রতিনিধিরা বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য শুধু আশ্বাসই দেন, কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না।কুশিয়ারা অঞ্চলের প্রিয় প্রতিষ্ঠানটিকে দয়া করে রক্ষা করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার পাল জানান, বিদ্যালয়টি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডে আবেদন জানানো হলেও তারা এখনো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। চলতি বর্ষা মৌসুমে নদীভাঙ্গন আরো মারাত্বক আকার ধারণ করবে। বিদ্যালয়টি রক্ষায় তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে শরীফগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মুমিত হীরা জানান, বিদ্যালয়টি রক্ষা করতে ইতিমধ্যে আমরা স্থানীয় সংসদ সদস্য, সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে অবগত করেছি। তিনি বিদ্যালয়টি নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আশ্বাস প্রদান করেছেন। আশাকরি শিঘ্রই এব্যাপারে বাস্তব উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।