বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২ মাস পেরিয়ে গেলেও 'লাল' বৃত্ত লাগেনি গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে নির্মিত ভেঙে যাওয়া শহিদ মিনারে। এনিয়ে উপজেলার সচেতন মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এত দিন পেরিয়ে গেলেও একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়, প্রশাসনের লোকজনের চোখের সামনে থাকা শহিদ মিনারে কেন লাল বৃত্ত লাগানো হচ্ছে না এনিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন বুধবার (১৬ জুন) উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে গেলে দেখা যায়, শহিদ মিনারের পিছনে ভেঙে যাওয়া লাল বৃত্তের একাংশ ফেলে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, গত ২৯ মার্চ সোমবার শবেবরাতের রাতের কাল বৈশাখির তান্ডবে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে নির্মিত শহিদমিনারের মধ্যখানের লাল বৃত্ত ভেঙে যায়। ভেঙে যাওয়ার ১০ দিন পর গত ৮ এপ্রিল সিলেট ভয়েসে একটি প্রতিবেদন হলে চোখে পড়ে উপজেলা প্রশাসনের। এদিনই ভেঙে যাওয়া লাল বৃত্ত সরিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু ২ মাস পেরিয়ে গেলে এখনও সেই ভাঙা অংশটি মেরামত করা হয়নি।
জুবের আহমদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, প্রশাসনের চোখের সামনে যদি শহিদ মিনারের এমন অমর্যাদা করা হয়। তাহলে আড়ালে কি না হচ্ছে। খুব দ্রুত শহিদ মিনারের লাল বৃত্ত লাগানোর জন্য তিনি উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, এটা মেরামত না করে নিশ্চই শহিদদের অবমাননা করা হচ্ছে। ২ মাসেও লাল বৃত্ত লাগানো হচ্ছে না। এর পিছনে উপজেলা প্রশাসনের অবহেলা বড় কারণ বলে মনে করছেন তিনি।