বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : ৪ মাস থেকে ব্যাংকের দারস্ত হয়েও জানতে পারছেন না ভাতা না পাওয়ার কারণ?
সর্বশেষ, মঙ্গলবার (২৫ মে) ব্যাংকের গেলেও ফিরতে হলো তাদের খালি হাতে।
এতে করে নানাবিদ সমস্যার দায়ে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে দেশ সৈনিক পরিবারগুলোকে।
তারা অভিযোগ করে জানান, প্রায় ৪ মাস যাপত আমরা সিলেট মহানগর শাখার ৫০ এর অধিক মুক্তিযোদ্ধার ভাতা কোন কারণ ছাড়াই পাচ্ছেন না। এর মধ্যে অনেকের ভারতীয় তালিকাসহ অন্যান্য তালিকায় নাম রয়েছে।
সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের বেতন, ভাতা, বৈশাখী ভাতা ও ঈদ বোনাস প্রদান করা হয়। কিন্তু অজানা কারণে সিলেটের মুক্তিযোদ্ধারা এসব ভাতা থেকে বঞ্চিত। এছাড়াও ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেছেন মুক্তিযোদ্ধার কয়েকজনের পরিবারগুলো, আর ভাতা না পাওয়ার কারনে ব্যাংকের সুদ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অভাবে মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে তাদের। মহামারি করোনাকালে মুক্তিযোদ্ধা এই পরিবারগুলো কোন ধরণের ত্রাণ সামগ্রী পায় নি। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ও ব্যাংক-কে বার বার দারস্ত হলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। ফলে শূণ্য হাতেই ফিরতে হচ্ছে তাদেরকে।
তারা আরো জানান, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আমলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলোকে যেসব সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। যা কোন সরকারের বেলায় তা হয়নি। এই সমস্যা থেকে প্রতিকার পেতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলো। এসময় ব্যাংকের সামনে প্রতিকার পেতে অপেক্ষা প্রহর গুণতে হচ্ছে।
অভিযোগ করেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নীল বাবু সিংহের সহধর্মিনী আনন্দিনী সিনহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিপুল চন্দ্র দাশের সহধর্মিনী শিপ্রা দাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত দিলীপ কুমার সিংহের সহধর্মিনী সীমা কাংজিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত দেবাশিষ মজুমদারের সহধর্মিনী কৃষ্ণ মুজমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত দিপেন্দ্র মোহন দাশের সহধর্মিনী ছায়া রানী দাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত সেকান্দর আলীর সহধর্মিনী শাহিদা বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত অজয় কুমার শর্ম্মার সহধর্মিনী সবিতা শর্ম্মা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত করুণায়ময় পালের সহধর্মিনী জবা পাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল মনাফের সহধর্মিনী রোকেয়া বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত খলিল উল্লাহ সহধর্মিনী মাহমুদা খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মুসলিম আলীর ছেলে মো. লাল মিয়া, মৃত আমির হোসেনের সহধর্মিনী অহিদা বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত অনিল সিংহ বর্মনের সহধর্মিনী অধীর সিংহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত অনিল সিংহ বর্মনের ছেলে অধীর সিংহ বর্মন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত বদর উদ্দিন আহমদের সহধর্মিনী নুরজাহান বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্বাস উদ্দিন মনু মিয়ার সহধর্মিনী ফুলবান বিবি, মরহুম মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশারের স্ত্রী শাহারা বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত দেওয়ান আবরার হোসেন চৌধুরীর সহধর্মীনি শিরিন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বামী মৃত আবুল কালামের সহধর্মীনি সান্তা কালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত স্বামী শ্রী চন্দ তালুকদারে সহধর্মীনি খেলা রানি তালুকদার প্রমুখ।