বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটের বিশ্বনাথের চাউলধনী হাওরে পরপর দুটি হত্যাকন্ডের ঘটনার আসামী প্রবাসী সাইফুল ইসলাম এখনো রয়েছে অধরা। চাউলধনী হাওরের হত্যাকান্ডের বিশ্বনাথ থানা থেকে খুঁনের বোঝা মাথায় নিয়ে সিলেট পুলিশ লাইনে বদলী হয়েছিলেন থানার ওসি শামীম মূসা। এর ঠিক চারদিন পর দুটি হত্যাকন্ডের ঘটনার আসামী সাইফুলের বাড়িতে আম পারায় থানার আরেক পুলিশ কর্মতর্কতাকে বদলী করা হয়েছে সূত্র জানায়।
সূত্র আরও জানায়, বদলীকৃত এস আই হলেন বিশ্বনাথ থানার ফজলু। গত বৃহস্পতিবার(১৩ মে) তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে সিলেট পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, এস আই ফজলু ডাবল মার্ডারের আসামি যুক্তরাজ্যা প্রাবাসী সাইফুলের কথিত বন্ধু ছিলেন। ফজলু থানা থেকে প্রত্যাহারে পূর্ব চাউলধনি হাওয়রের চৈতননগর এলাকায় ডিউটিতে ছিলেন। সাইফুলের সাথে ছিলো ঘনিষ্ট সম্পর্ক। বৃহস্পতিবার ডিউটি শেষে থানায় ফেরার আগে সাইফুলের বাড়িতে যান তিনি। এই সময় বাড়িতে কোন মানুষ ছিলাে না ।
বাড়িতে কোনো মানুষ না থাকায় এস আই ফজলু ঘাতক সাইফুলের গাছের আাম পাড়তে থাকেন। তার আম পারা গ্রামের অনেকেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেখেছেন। আব্দুস শহিদ নামক একজন বেরসিক গ্রামবাসী আম পাড়া ঘটনাটি মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড করে ফেলেন এবং মূর্হুতের মধ্যে তা চতুরদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আরও চাঞ্চল্যকর বিষয় হচ্ছে দয়াল হত্যা মামলার বাদী আহমদ আলীকে দিয়ে মেহদির পাতা-পাটা পুতাইলে পিসে থানায় নিয়ে যান।
এলাকার মানুষ যখন ডাবল মার্ডারে শোকাহত, অত্যাচারিত তখন একজন পুলিশ কর্মকর্তার আম পাড়া ঘটনা দেখে শুরু হয়েছে ঠাট্টা- মস্করা। অনেকেই বলছেন সাইফুলের টাকার চেয়ে এখন আমের মজা বেশি। এ কথাটি এখন চাউলধনি হাওয়র পাড়ে মানুষের মুখে মুখে।
তবে এস আই ফজলু চৈতন্যনগর থেকে আম ও মেহেদী নিয়ে থানায় আসা মাত্র জানতে পাড়েন তাকে থানা থেকে থানা থেকে বদলী করা হয়েছে ।
এদিকে পুলিশ কর্মকর্তার এমন কান্ড দেখে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। তারা বলেছেন,দুই একজন পুলিশের কারণে পুলিশের দুর্নাম হচ্ছে।
সূত্র জানায়, এস আই ফজলু চাউলধনি হাওয়রের একটি সাজানো চাঁদাবাজির মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল কালামকে গ্রেফতার, দয়াল হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাইফুলসহ মূল আসামিদের অব্যাহতি,কাউন্টার মামলা নিয়ে কৃষকদের হয়রানিসহ সাইফুলের কথায় উঠ বস করতেন তিনি। সুমেল হত্যাকান্ডের পর পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে তদন্তে এসে থানা পুলিশের দায়িত্বের অবহেলা দেখে কঠোর ভাষায় ভৎসনা করেছিলেন।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান বলেন, নিয়মতি পোস্টিং প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাকে পুলিশ লাইনে বদলী করা হয়েছে।
সূত্র : সিলেট প্রতিদিন