বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক: গোলাপগঞ্জে আলোচিত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এহতেশামুল হক শাহিন হত্যার সাথে জড়িত আরও ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শনিবার (১মে) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হাজীপুর শুকনা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে র্যাব। আজ রবিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে পুলিশ এ মামলায় আরো ৮জন আসামীকে গ্রেফতার করেছিল।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের কায়স্থগ্রামের কুসুমবাগের জামাল হোসেনের ছেলে সরোয়ার হোসেন (২৪) ও হাজিপুর শুকনা গ্রামের মৃত তৈয়বুর রহমানের ছেলে মাজেদুর রহমান (৩৭) তার ভাতিজা মাহবুবুর রহমানের ছেলে ওয়াহিদুর রহমান ওরফে সানি (২৭) ও একই গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে শাকিল আহমদ (২৬)।
গ্রেফতারকৃত ওয়াহিদুর রহমান ওরফে সানি (২৭) গোলাপগঞ্জ উপজেলার বিএনপি নেতা ও ফুলবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক বহিস্কৃত চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ফয়সলের ছেলে ও মাজেদুর রহমান (৩৭) ফয়সলের আপন ভাই। চেয়ারম্যানের ছেলে হওয়ার সুবাধে বিভিন্ন সময়ে নেশা করে বেড়াতো ছানি।
জানা যায়, মাদক বিক্রি ও মাদক সেবনে বাধা প্রদান করার জন্যই পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে যুবলীগ নেতা শাহিনকে।
নিহত শাহিন গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হাজীপুর লরিফর গ্রামের বসিন্দা। এছাড়াও তিনি উপজেলা যুবলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক, হেতিমগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। রবিবার দিবাগত (২২ মার্চ) রাত ১টার দিকে উপজেলার নিজ গ্রামের রাস্তায় মরহুম আব্দুল হকের ছেলে যুবলীগ নেতা এহতেশামুল হক শাহিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়।
নিহত শাহিন ওইদিন রাতে ঢাকা থেকে জরুরী কাজ শেষ করে সিলেট থেকে সিএনজি যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। গ্রামে আসামাত্র কয়েজন সন্ত্রাসী কলাগাছ ফেলে রাস্তার গতি রোধ করে। এসময় শাহিনের সাথে সন্ত্রাসীদের ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা শাহিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে চালক ও পরিবারের সহযোগিতায় তাকে দ্রুত ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট র্যাব-৯ এর এএসপি ওবাইন। তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব অভিযান চালিয়ে গোলাপগঞ্জের ব্যবসায়ী শাহিন আহমদ হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার করে।