বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : নতুন সংস্কার করা বিয়ানীবাজার-চন্দপুর সড়কে মেরামত কাজ শেষ হবার এখনো ৫ মাসও পূর্ণ হয়নি। তার আগেই সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় ধস ও ফাটল দেখা দিয়েছে। সড়কটির বিয়ানীবাজার পৌরসভা অংশের লোলাখালের উপর কদুগঞ্জ সেতুর সংযোগ সড়কে ধস নেমেছে। দীর্ঘ ভোগান্তির পর সংস্কার কাজ শেষ হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরলেও সড়কের এমন দশায় দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ত্রুটিপূর্ণ সংস্কার কাজের জন্য রাস্তায় ধস নামার পাশাপাশি ফাটল দেখা দিয়েছে।
এদিকে, বিয়ানীবাজারসহ দুই উপজেলার মানুষের বিভাগীয় শহর সিলেটের সঙ্গে বিকল্প সড়ক যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির কদুগঞ্জ সেতুর সংযোগ সড়কে ধস নামার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এলাকাবাসী জানান, যত সময় যাচ্ছে সড়কের ওই ধস ও ফাটল বড় হচ্ছে। এতে যেকোনো মুহূর্তে সেতু ও সড়কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সড়কটির বিয়ানীবাজার পৌরসভা অংশের লোলাখালের উপর কদুগঞ্জ সেতুর সংযোগ সড়কে ধস নেমেছে। একাধিক স্থানে ফাটল ধরেছে, কোথাও কোথাও বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সংযোগ সড়কে ধস নামার কারণে পাশ দিয়ে বয়ে চলা স্থানীয় গ্রামীণ রাস্তার সাথে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে সোয়া ৪ কোটি টাকায় বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়কের প্রথম চার কিলোমিটারের বেশি অংশ সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রকৌশল বিভাগ মেসার্স রাশিদুজ্জামান পিটার নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ করে। ওই বছরের অক্টোবরে সড়ক সংস্কার কাজ শুরু হয়। সড়কের এক কিলোমিটার অংশের মেকাডম শেষ করতে সময় লেগেছে ছয় মাস। গত বছরের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সংস্কার কাজের মেয়াদ বৃদ্ধির পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে এসে রাস্তাটির সংস্কার কাজ শেষ হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী রায়হান উদ্দিন জানান, ধস নামার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত উপজেলা প্রকৌশল অফিস থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করা না হয়, তাহলে চলতি বৃষ্টি মৌসুমে এই অংশটি পুরোপুরি ধসে পড়বে। এতে পুরনো কদুগঞ্জ সেতু দিয়ে যোগাযোগের পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
এদিকে সড়কটির কদুগঞ্জ সেতুর সংযোগ সড়কে ধস নামার বিষয়টি জানে না বলে দাবি করছে বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রকৌশল অফিস। উপজেলা প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ধসে যাওয়া ও ফাটল সৃষ্টি হওয়া স্থানটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।