বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : গেলো বছরের ১৫ জুন করোনা আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেটের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। সে সময় কামরানের বাসায় যান সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। প্রতিশ্রুতি দেন ‘কামরান সাহেবের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করা হবে।’ সে সময় দাবি উঠেছিলো সিলেট নগর ভবনের সামনে নির্মানাধিন সিটি মোড়কে কামরান চত্বর ঘোষণা করার। কিন্তু মাত্র কয়েকদিনের মাথায় ভোল পাল্টান সিসিক মেয়র। তাতে কি, কোন কিছুতেই তোয়াক্কা না করে ‘জনতার কামরান চত্বর’ হিসেবে নামফলক লাগায় ছাত্রলীগ।
দীর্ঘদিন পর সেই নামফলকটি দুর্বৃত্তরা খুলে ফেলে। বিষয়টি আবারও নজরে আসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিলে মঙ্গলবার (১১ মে) পুনরায় ‘জনতার কামরান চত্বর’ নামে নামফলক স্থাপন করেন। এ নামফলকের সাথে বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের একতি ছবিও সাঁটায় তারা।
গোলাম হাছান চৌধুরী সাজন নামের সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ লিখেন- ধন্যবাদ ছাত্রলীগের ভাইদের। খুলে ফেলা নেমপ্লেটটি আবারো ছাত্রলীগের ভাইয়েরা পুনরায় বসিয়েছ। কতোদিন এটি সিটি কর্পোরেশন পয়েন্টে থাকবে সিটি কর্পোরেশন এর দায়িত্বশীল মহোদয় জানেন। তবে, রাতের আধারে নেমপ্লেটি আপনি খুললে ফেললে জনতা বার-বার নেমপ্লেট লাগাবে। সিনিয়রদের দেখানো পথে হেঁটে দায়িত্বশীলতার উদাহরণ সৃষ্টি করলো ছাত্রলীগ। কৃতজ্ঞতা এবং ভালবাসা তোমাদের প্রতি।
এর আগে ২০২০ সালের ১৫ জুন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেটের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান করোনায় মারা যান। তিন দশকের বেশি সময় ধরে তৎকালীন সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যান, কমিশনার থেকে শুরু করে মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছিলেন কামরান। এই জনপ্রিয় নেতার মৃত্যুর পর নগর ভবনের সামনের চত্বরের নাম ‘কামরান চত্বর’ রাখার দাবি ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবির পাশাপাশি ভার্চুয়াল একটি সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন। বিগত দু’টি নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি নেতা আরিফুল হকের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের কামরান।