বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ : কোথাও একটুও শান্তির জায়গা নেই। যেখানেই যাবেন অশান্তি। অশান্তি থেকে শান্তির খুঁজে পেরেশান মানুষ। হাটে-মাঠে, রাস্তা-ঘাটে, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে, বাইরে-ঘরে কোথাও স্বস্তি মিলছে না। টানা ৪ দিন থেকে গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চলছে তীব্র গরম। যে কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
এদিকে কারো বাসা-বাড়িতে বিদ্যুৎ থাকলেও বৈদ্যুতিক পাখা থেকেও মিলছে না স্বস্তি। যাদের বাড়িতে বৈদ্যুতিক পাখা নেই তাদের দিন-রাত কাটছে বিষণ অশান্তিতে। প্রাকৃতিক বাতাসও নেই। একটু ছায়ার খুঁজে মানুষ গাছের নিচে গেলেও মিলছে না বাতাস। অনেকে জরুরি কাজে বাইরে বের হলেও ছাতা নিয়ে বের হচ্ছেন। এর মাঝে আছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট।
সোমবার (২৪ মে) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ ছিলো না। কয়েক ঘন্টা পর বিদ্যুৎ আসলেও স্বস্তি মিলছে না মানুষের মধ্যে।
সকাল ১১ টার দিকে দেখা যায়, কবির আহমদ নামে এক যুবক লুঙ্গি পড়ে, মাথায় ও গাঁয়ে একটি গামছা পেঁচিয়ে রাস্তা দিয়ে হাটছেন। তিনি বলেন, শ্রমজীবী মানুষ আমরা। টানা ৩ দিনের গরমে বাড়ির বাইরে বের হতে পারছি না। এভাবে গরম থাকলে আমরা মরে যাব।
ষাটোর্ধ ইসলাম উদ্দিনসহ কয়েকজন বসে আছেন ছায়া দেখে একটি গাছের নিচে। তিনি বলেন, অতিষ্ঠ গরমে। কোথাও শান্তি মিলছে না। ঘরে ফ্যানের বাতাসও কাজে আসছে না। গাছের নিচে বসে থাকলেও মিলছে না একটু বাতাস।
এদিকে সিলেট বিভাগের কিছু কিছু এলাকাসহ দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে বৃষ্টি হলেও গুমোট গরম থাকবে দিনভর। আর সন্ধ্যার পর কমে আসতে পারে কিছুটা তাপমাত্রা।