বিজ্ঞাপন
জাহিদ উদ্দিন : সিলেটের গোলাপগঞ্জে মৌসুমের শুরু থেকেই ছিল তরমুজের দাম বেশি। তবে রমজান আর বৈশাখের প্রচন্ড গরমকে কেন্দ্র করে তরমুজের বাজারে আরো আগুন লেগেছে। তরমুজের দাম আকাশ ছোঁয়া হওয়ায় তরমুজের স্বাদ নিতে পারছেন না নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা।
এদিকে গ্রীষ্মকাল শুরু হলেও পরিপক্ব না হওয়ায় বাজারে এখনও আসেনি চাহিদা অনুযায়ী মৌসুমী ফল। তাই বাজারে থাকা গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজের ওপরই এখন ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। আর এ সুযোগটিকে কাজে লাগাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তারা তরমুজ কেজি দরে বিক্রি করছেন, দাম হাঁকাচ্ছেন ইচ্ছেমতো।
অভিযোগ উঠেছে, গোলাপগঞ্জের তরমুজ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে তাদের ইচ্ছেমতো তরমুজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।ব্যবসায়ীরা প্রতি পিছ হিসাবে তরমুজ কিনলেও তারা বেশি লাভের জন্য বিক্রি করছেন কেজিতে। কেউ কেউ আবার প্রতিটি তরমুজের একটি দাম নির্ধারণে একদামে বিক্রি করছেন।
মঙ্গলবার সরেজমিন গোলাপগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পুরো বাজারে ৭/৮ টি দোকানে বড় সাইজের তরমুজ একদরে বিক্রি করা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০টাকায়। মাঝারি ধরনের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকায়।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বললে তারা দাম বাড়ানোর ব্যপারে দেখাচ্ছেন নানান অজুহাত ।
তারা জানান, এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়নি। এর ওপর চৈত্রের শুরুতেই প্রচণ্ড গরম পড়তে শুরু করায় বেশি দাম পাওয়ার আশায় পরিপক্ক হওয়ার আগেই মাঠ থেকে তরমুজ তুলে বিক্রি করেছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, এখন আর মাঠে তরমুজ নেই। তাই বাজারে তরমুজের সরবরাহ কমেছে। আর তাই দামও বেড়েছে। আর ‘লকডাউনের’ কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরমুজ আসতে পারছে না।
তবে ক্রেতারা বলছেন অন্য কথা। তাদের অভিযোগ ফল ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে তরমুজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
গোলাপগঞ্জ বাজারে আসা হেলাল আহমদ নামের এক ক্রেতা জানান, সবাই একদরে বিক্রি করছে তরমুজ। কোন দামদরের সুযোগ দিচ্ছেনা ব্যবসায়ীরা। লকডাউনে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও খাদ্য পরিবহণের গাড়িগুলো চালু ছিল । এতে করে লকডাউনের কোন প্রভাব পণ্যের উপর পড়ার কথা না।
করিম আহমদ নামের আরেক ক্রেতা জানান, তরমুজ কিনতে এসে মাথায় বাজ পড়েছে। একতো লকডাউনে কাজ কাম নাই। কিন্তু ছেলেমেয়েরা বায়না ধরেছে তরমুজ খাবে। কিন্তু এসে দেখি এক একটি তরমুজের দাম ২৫০টাকা থেকে ৩০০ টাকা। যা আমাদের মত গরিবদের কেনা সম্ভব নয়।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ গোলাম কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ রকম অভিযোগ সম্পর্কে আমি অবগত আছি। বিষয়টি আমি দেখছি।