বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট: গেলো প্রায় ২০ বছর আগে সাহেব বাজারের পাঠানগাঁও এলাকায় খোলা জায়গায় ঘর বানিয়েছিলেন মো. আশরাফ আহমদ। তখন খোলা জানালা, ধূধূ বাতাস। সব মিলে ছিলো এক শান্তির নীড়। ইতোমধ্যে এ ঘরে থেকেই আশরাফ হয়েছেন দুই সন্তানের জনক। কিন্তু শান্তির নীড় অশান্তিতে পরিণত হতে বেশি সময় লাগেনি। একটি পোল্ট্রি ফার্ম শান্তির নীড়কে দুর্গন্ধময় এক নরকে পরিণত করেছে। যে দুর্গন্ধের শুরু হয় ২০১৯ সালের শুরুর দিকে। সেই থেকে সিলেটের পরিবেশ অধিদপ্তরে তাঁর দৌড়ঝাঁপ শুরু। অনুনয়, বিনয়, অভিযোগ, অনুযোগ সবই এখন তার শেষ। পরিবেশ অধিদপ্তর শেষ করে গিয়েছেন পরিবেশ মন্ত্রণালয় পর্যন্ত। কিন্তু কোন কিছুতেই যেন কাজ হচ্ছে না। শুনাবো এই ভোগান্তির গল্প।
সেই সালে আশরাফের ঘর থেকে প্রায় ১০ হাত দূরে ২৭ শত লাল মুরগী ধারণ ক্ষমতার একটি পোল্ট্রি ফার্ম তৈরি করেন নজরুল ইসলাম নামের একজন। সেই পোল্ট্রি ফার্মের দুর্গন্ধে ঘর যেন এখন তাঁর নরক। স্বজনরাও তাঁর বাড়িতে আসা ত্যাগ করেছেন। বিবাহিত দুই বোনেরও বাবার বাড়ির মায়া ত্যাগ করতে হয়েছে দুর্গন্ধে। তাহলে কি করবেন আশরাফ? পেশায় একজন দর্জি দোকানি পরিবেশ জ্ঞান সচেতন আশরাফ দ্বারস্থ হলেন সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের। ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ তারিখে দেন লিখিত অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ২৪ এপ্রিল সরেজমিন তদন্ত করে পরিবেশ অধিদপ্তর একটি নোটিশ প্রদান করে মাহিশা পোল্ট্রি ফার্মের মালিককে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া পোল্ট্রি ফার্ম করার জন্য কারণ দর্শানোর এ নোটিশের আলোকে ২২ আগস্ট তারিখে একটি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন দুই মাসের ভিতর ফার্মটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। সেই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। কিন্তু এ জরিমানার টাকা আদায় তো দূরের কথা বরং ফার্মটি এখন বর্ধিত করা হয়েছে। এমনকি অভিযোগের ক্ষোভ মিটাতে এখন আশরাফের ঘরের পেছনে গর্ত করে ফেলা হচ্ছে ফার্মের মুরগীর বিষ্টা। যার দুর্গন্ধে এখন ঘরে বাইরে থাকা দায়। তবে ফার্মটি আশরাফের ঘরের পাশে হলেও সামান্য কিছু দূরে থাকা অপর বাসিন্দা কাহের মিয়ার মেয়ের বিয়ে দুইবার ভেঙ্গেছে এই ফার্মের গন্ধে। তাই ভোগান্তি তারও কম না।
এ ভোগান্তির সূত্রপাত ২০১৯ সালে হলেও প্রতিকারের আশায় বুক বেধেছিলেন আশরাফ। কিন্তু না, প্রতিকার মিলেনি। বরং এর কার্যকর সিদ্ধান্ত জানতে আশরাফকে নিতে হয়েছে তথ্য অধিকার আইনের আশ্রয়। নির্দেশনা কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে তা জানতে আশরাফ সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরে গেলে শুরু হয় টালবাহানা। আশরাফ নিজে অভিযোগকারী হলেও কোন তথ্য জানাতে রাজি হয়নি পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়।
সবশেষ তিনি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিমের আশ্রয় নেন এবং তাঁর দেওয়া পরামর্শে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করে পান হতাশার তথ্য।
এই সেই ঘর ও মুরগির ফার্ম।জানতে পারেন পরিবেশ অধিদপ্তরের করা জরিমানা এবং উচ্ছেদ নির্দেশের বিরুদ্ধে পোল্ট্রি ফার্মের মালিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আপিল করেছেন। একই সাথে আশরাফকে জানানো হয় পরিবেশ অধিদপ্তর সরাসরি উচ্ছেদ অভিযানে না গিয়ে পল্লি বিদ্যুৎকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু পল্লিবিদ্যুৎ সে নির্দেশ পালন না করে হাইকোর্টের একটি রিটের কথা জানিয়েছে। যেখানে তারা উল্লেখ করেছেন- বিদ্যুৎ দিতে পরিবেশের ছাড়পত্র লাগে না। তাই তারা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। তাছাড়া এই ফার্মের ব্যাপারে নজরুল ইসলাম হাইকোর্টে একটি রিট করেছেন। যার নম্বর- ৭৩৪৬/২০২০। আর এই রিটের সংবাদেই দায়মুক্ত পরিবেশ অধিদপ্তর। এর ভিতর ভুক্তভোগী আশরাফ পরিবেশ মন্ত্রণালয় পর্যন্ত অভিযোগ দিয়েছেন। এ অভিযোগের ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশও রয়েছে। কিন্তু কোন কিছুই যেন কানে যায় না সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকের কানে। এ যেন, ‘ভাঙা বেড়ায় ফসল রক্ষা’র চেষ্টা!
কিন্তু নম্বর পেলেও রিটের কোন কাগজ পায়নি পরিবেশ অধিদপ্তর। এমনকি এ রিটে কার বিরুদ্ধে করা হয়েছে তাও জানে না তারা। যাচাইও করেননি রিটের সত্যতা।
কি ভাবে জানলেন রিটের কথা এমন প্রশ্নে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, ‘আমরা পল্লিবিদ্যুৎকে চিঠি দিয়েছিলাম বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে। এই চিঠির প্রেক্ষিতে তারাই আমাদের জানিয়েছে।’
আপনারা কি হাইকোর্ট থেকে কোন নির্দেশনা পেয়েছেন বা এডভোকেট সার্টিফিকেট পেয়েছেন কিনা; জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন কিছু পাইনি।’
তাহলে রিটের সত্যতা কতটুকু, তা যাচাই করেছেন কি না; জানতে চাইলে এমরান হোসেন বলেন, ‘পুরো বিভাগের দায়িত্ব আমার উপর। এতোগুলো কাজ ফেলে আমি চাইলেই কি পারি এটা যাচাই করতে? আপনি এটা পল্লিবিদ্যুৎকে জিজ্ঞাস করেন। তাছাড়া তারা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলেইতো হয়। এরকম কত পোল্ট্রি ফার্ম গড়ে উঠছে সবগুলোর খবর কি আমরা রাখতে পারি?’
কিন্তু পল্লিবিদ্যুৎ বিভাগের মাধ্যমে পরিবেশ অধিদপ্তর রিটের খবর জানলেও পল্লিবিদ্যুতই জানে না রিটের মূল খবর। সিলেট পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জিব কুমার রায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ‘মাহিশা পোল্ট্রি ফার্মের মালিক আমাদেরকে একটি লিখিত আবেদনের মাধ্যমে জানিয়েছেন এ ফার্মের ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে তিনি একটি রিট করেছেন যা চলমান। আবেদনে তিনি রিট নম্বর উল্লেখ করেছেন। সে অনুযায়ী আমরা কেবল পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সকলকে অবগত করেছি। আর কিছু না।’
সিলেট পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জিব কুমার রায় আরও বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার চিঠি পেয়েছি। কিন্তু আমরা এভাবে করতে পারি না। বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পরিবেশের ছাড়পত্র লাগে না। তবে পরিবেশের কোন ক্ষতি হলে বা ছাড়পত্র ছাড়া কেউ কোন ব্যবসা করে থাকলে এটার সম্পূর্ণ দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তরের। তারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে চাইলে এটা উচ্ছেদ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করতে আমাদের কোন সহযোগিতা লাগলে পরিবেশ অধিদপ্তরকে আমরা সহযোগিতা করতে পারি।’
এর ভেতর আশরাফ আহমদ ঘুরেছেন দ্বারে দ্বারে। গিয়েছেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়। আবার কখনো বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিমের সাহায্য চেয়েছেন, কখনোবা বেলার সাহায্য চেয়েছেন। অবশ্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টাও করেছেন সাহায্য করতে। উভয় সংগঠনের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে অনুরোধও করেছেন। তবুও নীরব ভূমিকায় পরিবেশ অধিদপ্তর।
বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারিনি। নিজের কাছেই এখন খারাপ লাগছে। লোকটির কষ্ট দেখলে খুব খারাপ লাগে। বারবার পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে অনুরোধও করেছি। কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বরং লোকটাকে কোন তথ্যই দিতে চায় না তারা। এমন অবস্থায় পরিবেশ অধিদপ্তরের নীরবতার সঠিক কারণ খোঁজা ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই।’
অবশ্য আশরাফ আহমদের ভোগান্তির গল্প এখানেই শেষ না। পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ করার কারণে অল্পের জন্য চাঁদাবাজি মামলার আসামিও বনতে বসেছিলেন তিনি। মাহিশা পোল্ট্রি ফার্মের মালিক নজরুল মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে এয়ারপোর্ট থানাকে আসল বিষয়টি জানালে রক্ষা হয় তাঁর।
কিন্তু রিটের কারণে পরিবেশ অধিদপ্তর কোন পদক্ষেপ নিতে না পারলেও ফার্মে এবার বর্ধিতকরণ কাজ শুরু করেছেন নজরুল ইসলাম। আর জোরেশোরেই চলছে সে কাজ।
তবে বর্ধিতকরণ কাজের বিষয়টি অবগত করে করণীয় জানতে চাইলে মোটামুটি ক্ষিপ্ত হন সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এমরান হোসেন। বলেন, ‘এতো কথাতো বলতে পারব না। রিট আছে তা ঠিক। আর এর বাইরেও নানা কারণ আছে উচ্ছেদ করতে না পারার। আর ফার্মে যদি বর্ধিতকরণ কোন কাজ হয়েও থাকে তাহলে সেটা আমরা দেখব।’
‘দেখার’ আশ্বাস দিলেও ফার্মের ব্যাপারে কথা বলতে চাইলেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠা এ পরিচালক গত ২২ দিনেও এ প্রতিবেদন লেখার দিন বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিকাল পর্যন্ত সরেজমিনই করেননি উনি বা উনার দপ্তরের কেউ।
তবে পোল্ট্রি ফার্মটি পরিবেশ অধিদপ্তরের কথামতই তৈরি করেছেন বলে জানিয়েছেন মাইশা পোল্ট্রি ফার্মের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা নজরুল ইসলামের ভাই বদরুল। সরেজমিনে গেলে ফার্মে তাকে পাওয়া যায়। এসময় পরিবেশের কোন ছাড়পত্র ছাড়া কিভাবে ফার্ম তৈরি করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরাতো ছাড়পত্রের জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে আপাতত আপনারা ফার্ম চালু করেন পরে দেখা যাবে। লাগলে পরে দেওয়া যাবে। তাই এখন তারা ছাড়পত্র না দেওয়ায় আমরা হাইকোর্ট রিট পিটিশন করেছি।’
অবশ্য এসময় তিনি কোন সংবাদ প্রচার না করতেও তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন। বদরুল বলেন, ‘এখানে রিট আছে। তাই আপনি সংবাদ প্রচার করতে পারবেন না।’
আর সরেজমিন শেষ করে ফেরার পথে প্রতিবেদককেই পড়তে হলো এক বিড়ম্বনায়। হঠাৎ করে অপরিচিত এক নম্বর থেকে আসল কল। জানতে চাওয়া হলো প্রতিবেদকের পরিচয় এবং মাহিশা পোল্ট্রি ফার্মে সরেজমিনে যাওয়ার কারণ। পরিচয় দিয়ে প্রতিবেদন তৈরির কাজে যাওয়ার কারণ জানালে অপর প্রান্তের লোকটি নিজেকে ‘টিলাগড় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর’র সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘আমি সাহেব বাজার আছি। আপনি আমার সাথে দেখা করেন।’ প্রতিবেদক দেখা করতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, ‘তাহলে শুনুন। আপনি এই ফার্ম নিয়ে কোন নিউজ করবেন না। সমস্যা হবে।’
কি সমস্যা হবে এবং অপর প্রান্ত থেকে কথা বলা ব্যক্তির নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার নাম নজরুল। সমস্যা অনেক। আমি বলছি যেটা সেটাই শুনবেন। এটাই কথা।’
তবে বুধবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে ফার্মের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে মাহিশা পোল্ট্রি ফার্মের স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে পরিবেশের জরিমানার বিরুদ্ধে আপিল শুনানি হয়েছে। এটার রায় আমার পক্ষে এসেছে। আর হাইকোর্টে একটি মামলাও আছে। এর বেশি কিছু জানতে চাইলে আমার সাথে দেখা করেন। সামনা সামনি কথা বলব।’
আর পরিবেশ আইনের প্রতিই আস্তাই হারিয়ে ফেলেছেন ভুক্তভোগী আশরাফ আহমদ। তিনি বলেন, ‘পরিবেশ আইন কেবল কাগজে থাকলেও বাস্তবে এর কোন প্রতিফলন আমি পাইনি। কোন দপ্তর বাকি রাখলাম না প্রতিকারের জন্য। কিন্তু কিছুই হলো না। এমনকি নিজে লিখিত অভিযোগ দিয়ে আমি কি পদক্ষেপ নেওয়া হলো এই তথ্যটা পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পাইনি। পরবর্তীতে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করার পর উনাদের সুবিধামত তথ্য দিলেন। এই দেশে আইনের অভাব নাই। কিন্তু ব্যবহার কতটুকু। তাই আমি বলব আমার দুইটি শিশু সন্তানের কষ্টের কথা বিবেচনা করে হলেও এর একটি প্রতিকার হোক। আর কিছু বলার নেই আমার। এখন এতো গরমের দিনেও দুর্গন্ধে দরজা জানালাটা খুলে রাখতে পারি না। এ যন্ত্রণা থেকে আমি মুক্তি চাই।’
তবে ভোগান্তির এ গল্প আপাতত এতটুকু হলেও রিটের সত্যতা যাচাইয়ের দায়িত্ব নেয়নি কেউ।