বিজ্ঞাপন
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি: সারা দেশে হেফাজতে ইসলামের সহিংস ও পুলিশের হামলার বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে যে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে তা দমনে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারনে পূর্ব ঘোষিত শুক্রবারের বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করতে মাঠে নামতে পারেনি হেফাজতে ইসলাম।
শুক্রবার জুম্মা নামাজের আগে সকাল ১১ টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুকের বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সামনে বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের সামনে অবস্থান নেয় পুলিশ সদস্যরা। আচমকা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন দেখে সাধারণ মানুষের মাঝে ভয় আর আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
এ সময় হ্যান্ড মাইকে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম নজরুল বলেন, বাজারে আগত ব্যাবসায়ী, ক্রেতা ও সাধারণ মানুষরা যেন মাস্ক ব্যাবহার ও সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করার জন্য অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, সারা দেশে হেফাজতের বিভিন্ন কর্মসূচীর নামে দুর্ধ্বর্ষ তান্ডব চালিয়েছে। ভাংচুর জালাও পুড়াও আন্দোলন করেছে।তাই আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচীর নামে কোনো প্রকার অপ্রতিকার ও নাশকতার ঘটনা ঘটানো সম্ভব হবে না।কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ সব ধরনের নাশকতাকারীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাই মসজিদে নামাজ পড়তে আগত মুসুল্লিরা যেন হেফাজতের বিক্ষোভের ফাদে পা না দেয়। সবাই নামাজ পড়ে যার যার বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্যে অনুরোধ করে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম নজরুলের মাইকিং শুনে জুম্মার নামাজের পরে হেফাজত ইসলামের কর্মী সর্মথক কিংবা সাধারণ মানুষের কেউ বিক্ষোভ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেনি।
এসময় কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মজিবুর রহমান চৌধুরী ও সেকেন্ড অফিসার সুকমল দাসসহ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলী কালা মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অকিল বিশ্বাস, ইয়াকুব আলী সহ আওয়ামিলীগ, যুবলীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।