বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে এক মাদারাসাছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসাশিক্ষক মোহতামিম ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাদরাসার থেকে ওই শিক্ষককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ। কুলিয়ারচর বরখারচর গ্রামের নূরানী হাফিজিয়া আবাসিক মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত ১ এপ্রিল গভীর রাতে ওই শিক্ষার্থীকে ঘুম থেকে তুলে নিজ কক্ষে নিয়ে বলাৎকার করেন মোহতামিম ইয়াকুব আলী। বলাৎকারের পর ছাত্রকে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখিয়ে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য কোরআন শরীফে হাতে দিয়ে শপথ করান।
এ ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে গত দুদিন আগে ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে আসে। এরপর মাদরাসায় যেতে তাকে জোর করলে সে আর মাদরাসায় যাবে না বলে জানায়। তারপর পরিবারের পক্ষ থেকে মাদরাসায় যেতে বেশি চাপ দিলে সে মাকে নিয়ে থানায় চলে যায় বিচার চাইতে।
পরে মা বিষয়টি বুঝতে না পেরে সন্তানকে বাড়ি নিয়ে আসতে চাইলে সন্তান মাকে নিয়ে মাদরাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির কাছে গিয়ে ঘটনা খুলে বলে। এ ঘটনা জানাজানির পর ওই শিক্ষক মাদরাসা ছেড়ে পালিয়েছেন। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা গত বুধবার রাতে বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসী জানায়, বিগত কয়েক বছর আগেও এ মাদরাসায় আবুল হাসিম নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে ওই শিক্ষক রাতে পালিয়ে যায়।
মাদরাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সাত্তার মিয়া জানান, ঘটনা শুনে ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম সুলতান মাহমুদ জানান, ছাত্রকে বলাৎকারের ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। শিশুটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।