বিজ্ঞাপন
জাহিদ উদ্দিন : গোলাপগঞ্জের হেতিমগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এহতেশামুল হক শাহিন হত্যার ১মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
গত ২২ মার্চ রাতে জরুরি কাজ শেষ করে ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন গোলাগঞ্জের হেতিমগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এহতেশামুল হক শাহিন। সিলেটে নেমে তিনি সিএনজি যোগে বাড়ি পথে যাত্রা করলে নিজ গ্রাম হাজীপুর লরিফর রাস্তার ভিতরে প্রবেশ করা মাত্র মুখোশধারী অজ্ঞাত কয়েজন সন্ত্রাসী রাস্তায় কলাগাছ ফেলে গাড়ির গতিরোধ করে। তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় শাহিনের উপর৷ এসময় শাহিনের সাথে সন্ত্রাসীদের ধস্তধস্তির একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা শাহিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে খুন করে পালিয়ে যায়। পরে শাহিনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
শাহিন হত্যার ঘটনায় পরের দিন তার ছোট ভাই ইফতেখারুল হক সবুজ অজ্ঞাত কয়েকজন আসামী করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-২৮/ ২৩.০৩.২০২১ইং) দায়ের করেন। এ হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ এ পর্যন্ত মোট আটজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, সিএনজি ড্রাইভার বাদাই মিয়া, কাইয়ূম আহমদ, রেজন আহমদ, আলী আহমদ, সাহেদ আহমদ, সাইদুর রহমান, হাসান আহমদ , ইসমাইল আলী।
এই আসামীদের মধ্যে ৬জনকে পুলিশ দুই দফায় রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এছাড়াও বাকি ২জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে আবেদন করবে বলেও পুলিশ জানায়।
কিন্তু শাহিন হত্যা কারা, কী উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করা হয়েছে বা হত্যায় অংশ নেওয়া সন্ত্রাসীরা কারা তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। শাহিন হত্যার ইতিমধ্যে এক মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল মালিক লাল জানান, আমার চাচাতো ভাই শাহিনকে খুনিরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। আমরা শিগগিরই হত্যার মূল রহস্য এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি৷
এব্যাপারে মামলার বাদী নিহত শাহিনের ছোট ভাই ইফতেখারুল হক সবুজ বলেন, আমার ভাই রাজনীতি করতেন কিন্তু উনার কারো সাথে রাজনৈতিক মনমালিন্য ছিলনা। আমার ভাইয়ের হত্যার সাথে যারাই জড়িত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফুর রহমান (মিডিয়া) জানান, হত্যাকান্ডের পর ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৬জনকে দুই দফা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। নতুন আরো দুইজনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করা হবে। আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই এই হত্যার রহস্য পুলিশ উদঘাটন করতে সক্ষম হবে।