বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ : মানুষের হৈ হুল্লোড়, ছোট বড় শত শত গাড়ির শব্দ-হর্ণ, সড়কে গাড়ির জ্যাম, অটোরিকশার শহর, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্ম ব্যস্ততা, হাটে-মাঠে মানুষের জনসমাগমে মুখরিত সিলেটের গোলাপগঞ্জ যেন আজ অচেনা এক শহর।
দেশজুরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে সবকিছু। উপজেলায় গুটি কয়েক নিত্যপণ্যের দোকানপাট খোলা রয়েছে। লুকিয়ে লুকিয়ে পেটের দায়ে শপিং সেন্টারের এক সাটার খোলা রেখেছেন গুটি কয়েক ব্যবসায়ী। সড়কে সামান্য পরিমাণে গাড়ি চলাচল করলেও উপজেলার পৌর শহরের চৌমুহনীতে হঠাৎ দেখা মিলে সিএনজিচালিত অটোরিকশার। যে চৌমুহনী অটোরিকশার শহর ছিলো৷ আজ অটোরিকশার শূন্যতা চৌমুহনী পেরিয়ে পুরো উপজেলা জুরে।
এদিকে গুটি কয়েক হোটেল খোলা রয়েছে। অনেক নামিদামি রেস্টুরেন্ট লকডাউনের কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে। উপজেলার সকল ফার্মেসী খোলা রয়েছে। তবে ফার্মেসী গুলোতে মানুষ না আসায় ব্যবসা একেবারেই নেই। খোলা রয়েছে সবজি-মাছ বাজার। ব্যস্ততম সবজি-মাছ বাজারে আজ মানুষের খুব অভাব। যারাই আসছেন বাজার শেষ করে তড়িৎ গতিতে বাড়িতে চলে যাচ্ছেন।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকালে দেখা যায়, উপজেলার চৌমুহনী একেবারেই ফাঁকা। পুলিশ সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। গাড়ি এলে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। সবকিছুতে লোকারণ্য শহর আজ অচেনা।
উপজেলার পৌর শহরের চৌমুহনী আজ একেবারেই ফাঁকা। এমন দৃশ্য শুধু করোনায় লকডাউনের কারণে দেখা গেছে।
হঠাৎ দেখা হয় এক অটোরিকশা চালকের সাথে। তিনি বলেন, 'মানুষ নেই গাড়ির টিপও নেই।' পুলিশে কারণে চৌমুহনীতে যাওয়া যায় না।
ফার্মেসী ব্যবসায়ী শিপন চন্দ্র বলেন, সকাল থেকেই বসে আছি। এখন পর্যন্ত ব্যবসা হয়নি।
সবজি ব্যবসায়ী আমান উদ্দিন বলেন, 'মানুষ যা আসছেন সামান্য সামান্য সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এভাবে তো আর হবে না।'
এদিকে উপজেলার পৌর শহরের চৌমুহনীতে দায়িত্বরত পুলিশের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমরা যতটুকু সম্ভব মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর চেষ্টা করতেছি। অপ্রয়োজনে অযথা যাতে কেউ বাইরে ঘুরাফেরা করতে না পারে আমরা নজরদারি রাখতেছি।