বিজ্ঞাপন
স্টাফ রিপোর্ট : করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় চলমান লকডাউনের মধ্যেই দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। টানা ১১ দিন বন্ধ থাকার পর গোলাপগঞ্জের দোকানপাট ও শপিংমল গুলোর তালা খুললেও অনেকটা শঙ্কার মধ্যে আছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে শপিংমলগুলোতে ক্রেতাশূন্য দেখা গেছে।
রবিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে সরজমিনে গোলাপগঞ্জ বাজারের নূর ম্যানশন, এ ওহাব প্লাজা, মার্ভেলাস টাওয়ার, আল-মারওয়া সহ বিভিন্ন শপিংমল ও বিপণী বিতান ঘুরে দেখা যায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার আশায় শপিংমল ও বিপণী বিতান খুলে পরিষ্কার-পরিপাটি করে সাজ গোছ করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ক্রেতা টানতে। কিন্তু ক্রেতাদের দেখা পাচ্ছেন না তারা।
এ ব্যাপারে কয়েকজন কাপড় ব্যবসায়ীর সাথে কথা তারা জানান, বৈশাখের বাজার হারিয়েছি। আজ রমজানের ১১ দিন। ১১ দিন পর দোকানপাট খুলে বসেছি আশা রাখি এবারের মৌসুম হারাবো না। তবে আজ মার্কেটের ভেতরে ক্রেতা একেবারেই কম।
কাপড় ব্যবসায়ী সুহেদ আহমদ জানান সরকারি ঘোষণা পর দোকানপাট খুলেছি, যতটুকু সম্ভব হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিক্রি করার চেষ্টা করতেছি।
এদিকে গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুল আহাদ জানান, গোলাপগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ দোকানপাট ও শপিংমল খুলেছেন। ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতির মধ্যে রয়েছেন। গত বছরেও ঈদের বাজার তারা পাননি। এবার কিছু ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আশা দেখছেন তারা।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হলে অফিস-আদালত, গণপরিবহন এবং দোকানপাট ও শপিংমল মল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কেনাকাটার জন্য মার্কেট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এমন নির্দেশনা দিয়ে গত শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আজ তর কার্যকর করা হয়েছে।