বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : উঁচু-নিচু টিলায় মোড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য-মণ্ডিত সিলেটের এমসি কলেজের ক্যাম্পাসের নানা জায়গায় সাঁটানো হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন। সারি সারি গাছে ঝুলছে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপন, দেয়ালে রাজনৈতিক পোস্টার, আছে দেয়াল-দেয়ালে লেখা রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক স্লোগান, নান্দনিক প্রধান ফটকের চারপাশ-জুড়ে লাগানো হয়েছে শুভেচ্ছা পোস্টার।
আছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তি দাবি করে কিংবা স্বাগত জানিয়েও পোস্টার-ফেস্টুন। এতে ঐহিত্যবাহী এ ক্যাম্পাসের নান্দনিক গেইট-ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য ঢাকা পড়েছে। ঢাকা পড়েছে গাছগুলোও। আলপিন আর বিজ্ঞাপনের বাড়ে বাড়ছে না গাছগুলোও।
তবে কলেজের প্রিন্সিপাল কলেজের ভেতরে-বাইরে ব্যানার-ফেস্টুন নেই বলে দাবি করেছেন। কিন্তু সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ১২৯ বছরের পুরনো কলেজটি নান্দনিক গেইটের আশেপাশে রয়েছে নানা ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ব্যানার ফেস্টুন। বিশেষ করে ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী কলেজের প্রধান ফটকটিতে বড়-বড় সব পোস্টার লাগিয়ে ফটকটিতে একটা আবছা অবস্থার সৃষ্টি করে রেখেছেন।
গত ১৩ মার্চ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সিলেট সফরকে কেন্দ্র করে কলেজের ফটকে কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানিয়ে ব্যানার টাঙিয়ে রাখে ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী।
এরমধ্যে জেলা ছাত্রলীগ নেতা সৌরভ দাস, রাসেল আহমদসহ অনেকেই ছবিসহ বিশালাকৃতির অনেকগুলো ব্যানার টাঙানো রয়েছে। আছে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার আর ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ফেস্টুনও।এমসি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সাইমন জানান, এমনিতেই কলেজ বন্ধ। খুব প্রয়োজন ছাড়া ইচ্ছে থাকা স্বত্বেও কলেজে ঢুকতে পারি না। দুর থেকে কলেজের দৃশ্য দেখলেও ভাল লাগে। তাছাড়া তামাবিল সড়কের পাশে থাকায় এই রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়া করা পথযাত্রীরা পরিবহণ থেকেই কলেজটি দেখে যেতে পারেন।
কিন্তু ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ও ছাত্রলীগ নেতারা নিজের ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে ইদানীং ব্যানার-পোস্টার টাঙিয়ে প্রধান ফটকটি ছেয়ে দেওয়ায় সেই সুযোগটি আর থাকছে না। কলেজের নান্দনিক ফটকটিকে একটা হযবরল অবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। যেভাবে টাঙিয়ে রাখা হয়েছে দেখে মনে হয়, এটা কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়; যেন কারো ব্যক্তিগত বাসভবন।
আর কলেজের প্রহরী ও চতুর্থ শ্রেণীর কিছু কর্মচারীরা বলছেন, কলেজে ছাত্রলীগ করেন পরিচয় দিয়ে অনেকেই ব্যানার-ফেস্টুন দিয়েছেন কিন্তু বাস্তবে তাঁরা কলেজে এখনও আর পড়াশোনা করেন না। অথচ যেকোনো কাজে তাদেরকে সবার আগে প্রাধান্য দিতে হয়।
তবে এমসি কলেজে অধ্যক্ষ প্রফেসর সালেহ আহমেদ বলেছেন, কলেজের কোথাও ব্যানার-ফেস্টুন নেই। তিনি বলেন, আমার জানা মতে ক্যাম্পাসের কোথাও ব্যানার ফেস্টুন নেই। আর এভাবে ব্যানার ফেস্টুন থাকার সুযোগও নেই।
সৌজন্যে : সিলেট ভয়েস