Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১
সর্বশেষ সংষ্করণ 2021-03-25T11:33:05Z
গোলাপগঞ্জলিড নিউজ

গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীতে প্রতিনিয়ত যানজট দেখার যেন কেউ নেই !

বিজ্ঞাপন

সামিল হোসেন : গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীতে প্রতিদিন যানজটের কারনে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। ট্রাফিক পুলিশের কোন পদক্ষেপই যেন কাজে আসছে না। 

এই তীব্র যানজটের মূল কারণ চৌমুহনীতে সড়কের উপর অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত টমটম ও সিএনজির স্ট্যান্ড বানিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো দখল, সড়কের দুই পাশে অবৈধ দোকান বসিয়ে ব্যবসা ও যত্রতত্রভাবে গাড়ি পার্কিং করায় ফলে সৃষ্টি হচ্ছে এই যানজট । ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারী, যাত্রীসাধারণ, ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ীরা। 

আজ সরেজমিনে চৌমুহনীতে প্রতিদিনের মত যানজট সৃষ্টি হলে দেখা যায় সিলেট-জকিগঞ্জ রোড হতে লম্বা একটি গাড়ির লাইন যেখানে রেহাই পাচ্ছে না রোগী বহনকারী এ্যাম্বলান্সও।

এসময় এক মুমূর্ষ রোগীর মেয়ে সুমিনা আক্তার বলেন, আমার আম্মা বেমার আলীনগর থাকি আইরাম,এখন গোলাপগঞ্জ আইয়া যদি ১৫-২০ মিনিট জামো আটকি রই গরমের মাঝে, আমার মাইর অবস্থা আরও খারাপ ওইলে এর দায় কে নিবা ?

সিলেট জেলার পাঁচটি উপজেলার মিলনস্থল হচ্ছে গোলাপগঞ্জ উপজেলা শহর। ফলে এ উপজেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হচ্ছে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পরেই সিলেট-জকিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কটিকে অনেক গুরুত্ব বহন করে। এতে করে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কটি দিন দিন অত্যন্ত ব্যস্ততম সড়ক হয়ে পড়ছে।

এ বিষয়ে পথচারী ও পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীরা বলেন, রাস্তার পাশে ও রাস্তায় গাড়ি গুলো রাখার কারণে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যায় ফলে প্রচুর যানজটের সৃষ্টি হয়, এই যানজটের জন্য ছোট বাঁচ্চা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ রাস্তা পারাপারের সময় অসুবিধা হয় যার ফলে ছোটখাটো দূর্ঘটনা প্রতিনিয়ত হচ্ছে। তাই আমরা প্রশাসন সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কমনা করছি।

তাছাড়া ব্যস্ততম এই সড়কেই অবৈধ ও নম্বরবিহীন অটোরিকশা সড়কের দুই পাশে সারি সারি করে সাজিয়ে রাখছেন চালকেরা। রহস্যজনক কারণে এ ব্যাপারে নির্বিকার উপজেলার ট্রাফিক পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সিলেট এবং জকিগঞ্জ থেকে আসা বাসগাড়ি ঠাই দাড়িয়ে থাকে মাঝ রাস্তায় যাত্রী উঠানামা করা হয়। যেখানে ট্রাফিক পুলিশকে ও দেখা দায় বিহীন দ্বায়িত্ব পালন করতে।

এছাড়াও এসব অটোরিকশা চালকদের দৌরাত্ম্যে হয়রানির পাশাপাশি রীতিমতো নাজেহাল হচ্ছেন যাত্রীরা। 

সদর ইউনিয়নের গীর্দ গ্রামের চাকরিজীবি লায়েক আহমদ বলেন, অনেক সময় চাকরি শেষে রাত হয়ে যায় ফিরতে তখন অটোরিক্সায় বাড়ি যেতে হলে আমাকে ৬০/৭০ টাকা দিতে হয়, যেখানে মূল ভাড়া ২০ টাকা। এছাড়াও অনেক সময় দিনের বেলাও ৪০/৫০ টাকা করে দিতে হয় তাদের।

উল্লেখ গোলাপগঞ্জ উপজেলা সদরের ওপর দিয়ে যাওয়া সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক দিয়ে জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, বিয়ানীবাজার উপজেলা এবং মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা ও কুলাউড়া উপজেলায় যানবাহন যাতায়াত করে। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে জকিগঞ্জ-করিমগঞ্জ ও সুতারকান্দি-শেওলা ইমিগ্রেশন ও কাস্টম হয়ে মানুষ যাতায়াত করে। পাশাপাশি এ সড়ক দিয়ে বিপুল পরিমাণ মালামাল আমদানি-রফতানি হয়ে থাকে। যার ফলে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়ক।

এ বিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) গোলাপগঞ্জ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মাহমুদ জানান, গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীতে যানজটের অন্যতম প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড ও অবৈধ ফুটপাতের দোকান। আমি মনে করি এই সমস্যা নিরসনের জন্য অবৈধ্য সিএনজি স্ট্যান্ড ও ফুটপাত ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট জায়গা করে দিলে কিছুটা হলেও নাগরিকদের এই দুর্ভোগ কমবে।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ