বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক: গোলাপগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হামলায় আহতরা হলেন- উপজেলার শরিফগঞ্জ ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের আঙ্গুর মিয়ার ছেলে সাহাব উদ্দিন (৫৩), বাজিদ আলীর ছেলে জামাল উদ্দিন (৫৫) ও বড়লেখা উপজেলার চন্দগ্রামের আজিজের ছেলে মাহবুবু আহমদ (২০)।
এঘটনায় সাহাব উদ্দিনের চাচাতো ভাই ফরহাদ আহমদ (২০) বাদি হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও আর ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- একই এলাকার মৃত সিকন্দর আলীর ছেলে একলিম উদ্দিন (৭০)।একলিম উদ্দিনের ৩ ছেলে ডালিম (৩৫), ফেরদৌস (৩০) ও কওছর (৪০)। অপরজন মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে চেরাগ আলী (৫৫)।
অভিযোগ ও বাদি সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (৫ মার্চ) বিকালে বিবাদী একলিম উদ্দিনের ছেলের সাথে সুখ লাল দাসের ছেলের ফুটবল খেলার মাঠে ঝগড়া হলে এক পর্যায়ে সুখ লালের ছেলেকে তারা মারধর করে। পরে বিচার নিয়ে সুখ লাল দাস একলিম উদ্দিনের বাড়িতে গেলে তাকেও মারধর করেন বলে জানা যায়।
এরপর বিষয়টি মিমাংসার জন্য গত ৮ মার্চ পুলিশ ও গ্রামের মুরব্বিদের মাধ্যমে বিকাল ৪টায় বিচার হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু বিচারে অভিযুক্তরা উপস্থিত হোননি। এদিন রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ভিকটিম সাহাব উদ্দিনকে নিয়ে গ্রামের প্রবীণ মুরব্বি আতিবুর রাজাকে বিষয়টি অবগত করার জন্য তার বাড়িতে যান সুখ লাল দাস৷
আতিবুর রাজার পাশের বাড়ি অভিযুক্ত একলিম উদ্দিনের। সুখ লাল দাসের সাথে যাওয়ায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে সাহাব উদ্দিনকে প্রাণে হত্যার উদেশ্যে অভিযুক্তরাসহ আর ৪/৫ জন অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় একলিম উদ্দিনের নির্দেশে ৩ নং বিবাদী কওছর সাহাব উদ্দিনকে সামনে থেকে জড়িয়ে ধরেন। পরে ১নং বিবাদী ডালিম তার হাতে থাকা দাঁ দিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্য মাথার পিছনে কুপ মারেন। এরপর একই জায়গায় ২নং বিবাদী ফেরদৌস একটি কাটের বর্গা দিয়ে সজোরে আঘাত করলে সাথে সাথে সাহাব উদ্দিন মাঠিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় ৫নং বিবাদী চেরাগ আলী ভিকটিমকে কিল-ঘুসি মেরে তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন, মানি ব্যাগে থাকা ২৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেন।
আর জানা যায়, ভিকটিমের চাচা জামাল উদ্দিন ও ভাগনা মাহবুব তাকে বাঁচাতে আসলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। তাদের চিৎকারে আশ-পাশের মানুষ এগিয়ে আসলে বিবাদীরা পালিয়ে যায় বলে জানা যায়। ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়। সাহাব উদ্দিনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়। এসময় খবর পেয়ে বিবাদীদের ভয়ে লুকিয়ে থাকা সুখ লালকে কুশিয়ারা পুলিশ ফাঁড়ির কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে উদ্ধার করে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।