বিজ্ঞাপন
জাহিদ উদ্দিন : পবিত্র শবে বরাতের রাতের শেষভাগে চৈত্র মাসেই কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে গোলাপগঞ্জ উপজেলার কয়েক শতাধিক গ্রাম। সোমবার রাত আড়াইটার দিকে মাত্র ১৫ মিনিটের হালকা বৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কাঁচা আধা-কাঁচা ঘরের টিন উড়ে যাওয়া ও গাছ পড়ে ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুত্যের তার ছিঁড়ে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রায় ১২ ঘন্টা পর মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। কিন্তু এখনো অনেক স্থান বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার পৌর এলাকার ঘোগারকুল মাঝপাড়া এলাকার বুদুর মিয়ার ছেলে দিমজুর আলিম উদ্দিন ও নিজাম উদ্দিনের ২ টি ঘরই একেবারে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এ পরিবারটি বর্তমানে খুলা আকাশের নিচে রয়েছে।
শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের মেহেরপুর গ্রামের আলাল আহমদ জানান, আমাদের ঝড়ে আমাদের ইউনিয়নের একাধিক বাড়ির বড় বড় গাছ ভেঙ্গে গেছে। অনেক স্থানের বিদুৎতের লাইনও ছিড়ে গেছে।
ভাদেশ্বর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের জিল্লুর রহমান জানান, আমাদের এলাকায়ও একাধিক স্থানে ছোট বড় অনেক গাছ ঝড়ের কবলে পড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
ফুলবাড়ি ইউনিয়নের কিছমত মাইজভাগ গ্রামের মঞ্জুর আহমদ জানান, আমাদের গ্রামের লুকু মিয়ার ঘরের টিনে ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। এছাড়াও অনেক জায়গায় ছোট বড় অনেক গাছ ভেঙ্গে গেছে।
সদর ইউনিয়নের রুবেল আহমদ জানান, আমাদের ইউনিয়নের অনেক কাচা-আধা কাচার ঘর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পৌর এলাকার ইয়াগুল গ্রামের সফিক আহমদ জানান, আমার ঘরের একাংশ তুফানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এছাড়াও আমার টয়লেটের ঘরের টিন ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ গোলাম কবির জানান, গতরাতের ঝড়ে উপজেলার অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরী করছি। তালিকা করে উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে পাঠাবো।