বিজ্ঞাপন
জাহিদ উদ্দিন : গোলাপগঞ্জের পৌর এলাকার রাঙাডহর বাজারের শাখা পোস্ট অফিস। এই পোস্ট অফিসটির কার্যক্রম চলছিল একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘরে। কিন্তু সেই ঘরটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এক বছর ধরে পোস্ট অফিসটির কার্যক্রম চলছে একটি বাড়িতে।
পোস্ট অফিসের টিনের ঘরটি অনেক আগের হওয়ায় ভেঙ্গে পড়ায় গ্রাহক সেবা ব্যাহত হচ্ছিল। জরুরি কার্যক্রম চালানোর জন্য বর্তমানে পোস্টমাস্টার তার বাড়ির একটি খালি ঘরে পোস্ট অফিসের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, রাঙাডহর বাজার শাখা পোস্ট অফিসটি পৌর এলাকার ইয়াগুল, নুরুপাড়া, দক্ষিণভাগ, লামার দক্ষিণ ও গোলপার গ্রামের দায়িত্ব রয়েছে। পোস্ট অফিসটির নিজস্ব কোন জায়গা না থাকায় অন্যের জায়গায় ছোট একটি আধপাকা ঘর নির্মাণ করে পোস্ট অফিসের কার্যক্রম চলছিল। কিন্তু গত ৫বছর আগে এই ঘরটি ভেঙ্গে গেলে পোস্ট অফিসের কোন নিজস্ব জায়গা না থাকায় ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে এলাকাবাসী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ইয়াগুল গ্রামের জয়নুল ইসলাম জানান, আগে একটি ভবনে পোস্ট অফিসের কার্যক্রম চালানো হতো কিন্তু এখন কোথায় পোস্ট অফিসের কার্যক্রম চলছে আমাদের জানা নেই। পোস্ট অফিসের স্থায়ী কোন ঠিকানা না থাকায় আমরা পোস্ট অফিসের বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
নুরুপাড়া গ্রামের রফি আহমদ জানান, পোস্ট অফিসের গুরুত্ব কমে যায়নি। এখনো সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পোস্ট অফিসের মাধ্যমেই আসে। কিন্তু আমাদের এলাকার পোস্ট অফিস থাকলেও ভবন না থাকায় আমরা বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত।
এ ব্যাপারে ওই পোস্ট অফিসের পিয়ন সাহাব উদ্দিন জানান, জায়গার অভাবে পোস্ট অফিসের ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আপাতত আমরা পোস্ট মাস্টারের বাড়ির একটি ঘরে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
রাঙাডহর বাজার শাখা পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার আরিফা বেগম চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ ৫ বছর ধরে জায়গা না থাকায় ভবন না থাকায় বাধ্য হয়ে আমার একটি খালি ঘরে পোস্ট অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। জায়গা পেলে কর্তৃপক্ষ ভবন নির্মাণ করে দেবে বলে জানান তিনি।