বিজ্ঞাপন
সামিল হোসেন : মিশ্র ফলবাগান ও সবজির সবুজ রঙে নান্দনিক এক রূপ গড়ে তুলেছেন নিজের ৪ শতক জমিতে। পেশায় শিক্ষক হলেও নিজস্ব শ্রম, মেধা আর অর্থ খরচ করে প্রথম বার নিজস্ব জমিতে দৃষ্টি-নন্দিত বাগান করে এলাকার অনেককেই কৃষিকাজে উদ্বুদ্ধ করছেন।
করোনা মহামারীর কারনে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ হয় বিদ্যালয়, সেই সাথে বন্ধ হয় টিউশন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী প্রদীপ চন্দ্র দাশ। যার ফলে আর্থিক সমস্যার পাশাপাশি হয়ে যান বেকার। নিজের এই বেকারত্ব দূর করার জন্য গড়ে তুলেন নিজস্ব অর্থায়নে মিশ্র ফলবাগান ও সবজি বাগান।
প্রদীপ চন্দ্র দাশ দীর্ঘদিন ধরে গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীর মর্তুজা মার্কেটের পিছনের একটি বাসায় সহপরিবারে বসবাস করে আসছেন। বর্তমানে তিনি রানাপিং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত আছেন।
দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয় ছুটি থাকায় নিজের হাতে গড়া বাগানটি পরিচর্যায় দিনের অধিকাংশ সময় কেটে যায়। বাকী সময় কাটান পরিবারের সাথে।
বর্তমানে বাগানটিতে রয়েছে লাউ, মিষ্টি কুমড়া,জালি কুমড়া,মূলা মরিচ, পুঁইশাক, সরিষা, টমেটো, ফুলকপি,বাঁধাকপি,বেগুন,কলা, রাজশাহীর আম গাছ, ইত্যাদি।
তিনি বলেন, করোনার কারণে স্কুল বন্ধ হয়েগিয়েছিল। এরজন্য আমি বেকার হয়ে যায়। তখন চিন্তা করলাম চার শতক জমিতে সবজির বাগান করার। যেই ভাবনা সেই কাজ। বাগানের কাজ শুরু করে দিলাম। বাগানে বিভিন্ন ধরনের সবজির পাশাপাশি ফলজ গাছ রোপণ করলাম। সবজির ফলন ভালই হলো। নিজের পরিবারের চাহিদা মিটিও এখন আত্মীয় স্বজন অনেককে সবজি উপহার দিতে পারছি।
এভাবে সমন্বিত ভাবে মিশ্র ফলবাগান ও সবজি চাষের মাধ্যমে স্বল্প পরিসর জায়গার মধ্যে নিজের পরিবারের চাহিদা মিটাতে পারবে।এজন্য আমাদের স্বদিচ্ছার প্রয়োজন।