বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান জয়ের পায়ের জুতা খুলে দিয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত ছাত্রনেতা নাজমুল ইসলাম।
শনিবার (১৩ মার্চ) বাদ জোহর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারতের সময় এ ঘটনা ঘটে। এসময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের পায়ের জুতা খুলে মাজারে উঠতে গেলে দেখা যায় নাজমুল ইসলাম এগিয়ে এসে তার পায়ের জুতা খুলে দিচ্ছেন।
এদিকে বিতর্কিত এ নেতার এমন কাণ্ডে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও শুরু হয়েছে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা।
সিলেটে আয়োজিত কর্মীসভায় যোগ দিতে সিলেটে এসে পৌঁছেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। শনিবার (১৩ মার্চ) ১২টা ৫০ মিনিটে বিমানের একটি ফ্লাইটে করে তারা সিলেটে এসে পৌঁছান।
আর সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কর্মী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আলোচিত নাজমুল ফেস্টুন দিয়েছেন কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের দেয়ালে, দেয়ালে। আর তাঁর অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সভাপতি দেখতে চাওয়ার আকুতি জানিয়ে পোস্ট করছেন। জানাচ্ছেন শুভেচ্ছা। আলোচিত-সমালোচিত নাজমুল সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য’র দায়িত্বে ছিলেন। তবে তিনি পদে দায়িত্বে থাকাকালীন যতটা না আলোচনায় ছিলেন তার চেয়ে বেশি ছিলেন টিলাগড় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য। ছিলেন এমসিতে আলোচিত গণধর্ষণ মামলার আসামিদের মদদদাতাও। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রণজিৎ সরকারের অনুসারী এ ছাত্রনেতা এমসি কলেজ, টিলাগড় এলাকায় ছুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের মূল হোতাও ছিলেন নাজমুল। এসব ঘটনায় একাধিক মামলাও আছে তাঁর নামে। এসব মামলার মধ্যে দুটি মামলায় এখনও জামিন নেননি আলোচিত-সমালোচিত এ ছাত্রনেতা।
সিলেটের ওসমানীনগরের ওমরপুর গ্রামের তফাজ্জুল হোসেনের ছেলে গেলো বছর আলোচনায় আসেন এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীর সাথে ঘুরতে যাওয়া গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামিদের মদদ দিয়ে। তখন ফেসবুকজুড়ে ধর্ষকদের সাথে তাঁর ছবি ভেসে বেড়াচ্ছিল। পরে কিছুদিন নিবর ছিলেন টিলাগড়ে অপরাধের স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলা নাজমুল।
