বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : এ যেন পানির অভাবে দিন দিন মরে যাচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন। দেখার- পরিচর্চার কেউ নেই। সিসিক কর্তৃপক্ষের চোখের সামনে নগরীর জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টায় অনেক স্থানে ইতোমধ্যে মরে গেছে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে লাগানো সৌন্দর্যবর্ধক ফুল গাছগুলো, আর বাকিগুলোও মরার পথে। কিন্তু সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর।
সবুজ, পরিচ্ছন্ন, আধুনিক ও শৃঙ্খলাপূর্ণ নগরী গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে বন্দরবাজার-আম্বরখানা সড়কের চৌহাট্টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে সড়ক বিভাজকে (ডিভাইডারে) মাসাধিক সময় আগে সৌন্দর্যবর্ধক গাঁদা ফুল গাছ লাগায় সিলেট সিটি করপোরেশন। ফুল ফোটা সে গাছগুলো নজর কাড়তো পথচারী, নগরবাসী ও সিলেটে বেড়াতে আসা মানুষের। কিন্তু পরিচর্যা না করায় অনেক স্থানে ইতোমধ্যে সেসব ফুল গাছ মরে গেছে। যেগুলো আছে সেগুলোরও মরমর দশা।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, চৌহাট্টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে সড়ক বিভাজকে লাগানো অধিকাংশ সৌন্দর্যবর্ধক ফুল গাছ মরে গেছে। পানির অভাবে অবশিষ্ট গাছগুলোর শাখা-প্রশাখা শুকিয়ে যাচ্ছে। শিগগির পানি ও সার দেওয়া না হলে মরে যাবে সব ফুল গাছ।
চৌহাট্টা এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ফুল গাছগুলো যখন লাগানো হলো- তখন এগুলোর ঠিকমতো পরিচর্চা করাও প্রয়োজন। সঠিকভাবে পরিচর্যা না করায় সেই সৌন্দর্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ফুল গাছ মরে গেলেও সে ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
আব্দুল হাদি নামের এক কলেজ শিক্ষক বলেন, গাছ না থাকলে তো অক্সিজেন কমে যাবে। মহিলা কলেজের সামনে ডিভাইডারের গাছগুলো লাগানোর পর থেকে আর কোনো পরিচর্যা করা হয়নি। গাছের গোড়ায় পানি ও সার না থাকায় শুকিয়ে যাচ্ছে। অনেকগুলো গাছ ইতোমধ্যে মরে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তারা রিসিভ করেননি।
সৌজন্যে : সিলেটভিউ২৪