বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় দুইবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৭ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার রশিদপুরের অদূরে ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সালমান খান (২৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের নুরুল আমিন (৫০), ঢাকা ওয়ারি এলাকার সাগর (১৯), সিলেটের ওসমানীনগরের মঞ্জুর আহমদ মঞ্জু (৩৫), একই উপজেলার জাহাঙ্গির হোসেন (৩০), ডা. ইমরান খান রুমেল (৪৮) ও সিলেটের আখালিয়া নতুন বাজার এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে শাহ কামাল (৪৫)।
এ ঘটনায় আরও ৩০ জন আহত হন। এর মধ্যে ১১ জন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্য থেকে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষয়টি জানিয়েছেন ওসমানী হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এস.আই মো. জয়নাল।
দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি হচ্ছে- ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লন্ডন এক্সপ্রেস (ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৩১৭৬) ও সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া এনা পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৭৩১১)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লন্ডন এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে ভুল সাইটে চলে আসার কারণে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। সিলেটগামী গাড়িটি ব্রিজ পার হয়েই বিপরীত দিক থেকে আসা এনা গাড়ির উপর উঠে যায়। এসময় প্রচণ্ড গতিতে এনা বাসের সঙ্গে লন্ডন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ ঘটে।
লন্ডন এক্সপ্রেসের বেঁচে যাওয়া এক যাত্রী জানান, ঢাকা থেকে আসার পথে বার বার গাড়ির চালক অন্য গাড়িকে বেপরোয়া গতিতে ওভারটেক করছিলেন। কয়েকবার আমরা সতর্ক করার পরও চালক আমাদের কথা শুনেননি। যে কারণে এমন মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেটের উপ-পরিচালক কোবাদ আলী সরকার বলেন, লন্ডন এক্সপ্রেস গাড়িটি রাস্তার ভুল দিকে এসে এনা বাসকে ধাক্কা দেয়। প্রাথমিকভাবে লন্ডন এক্সপ্রেসের ভুল বলে মনে হচ্ছে। তবে দুর্ঘটনার আসল কারণ পরবর্তীতে তদন্তে জানা যাবে।
এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, সকালে কুয়াশা তেমন একটা ছিলো না। গাড়ির অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে লন্ডন এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে ওভারটেক করে এনা গাড়ির সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। অথবা লন্ডন এক্সপ্রেসের চালক ঘুমিয়েও থাকতে পারেন। বিষয়টি পরে তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে, দুর্ঘটনার পরপরই সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। রশিদপুরের দুদিকে প্রায় তিন কিলোমিটারজুড়ে সব ধরণের যানবাহন আটকা পড়ে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান শেষে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে চলাচল স্বাভাবিক হয়।